না হতে চাইলেও আমাদের সমাজ জোর করে মেয়েদের দশভুজা বানিয়েছে। বাড়ির কাজ, বাইরের কাজ, সকলের দেখভাল, সংসার, বাজার পাট সব কিছুই তাঁরা একার হাতে সামলে চলেন। কিছু সময় বাড়ির অন্য সদস্যরা সাহায্য করেন তবে অধিকাংশ সময়ই তা কিন্তু হয় না। সকালে বাড়ির কাজ, রান্না সামলে সারাদিন মেয়েরা অফিস করেন। এরপর বাড়ি ফিরে সবাইকে খেতে দেওয়া, বাচ্চার পড়াশোনা সবটাই তাঁকে দেখতে হয়। এরপর আর হাতে তেমন সময় থাকে না। বাড়ির মেয়েটি কী খেতে পছন্দ করেন, তাঁর শরীর কেমন আছে এই খোঁজ অধিকাংশই রাখে না। এমনকী যাবতীয় বাসি, বেঁচে যাওয়া খাবার তাঁকেই খেতে হয়। ফলে শরীরে একাধিক সমস্যা আসে, অকারণে ওজন বেড়ে যায়। নিজের শরীরের প্রয়োজনে তাঁরা যে হাঁটতে যাবেন বা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করবেন সেই সময়টুকু পান না। আর তাই অবহেলাতেই মেয়েদের শরীরে নানা সমস্যা বাড়তে থাকে।
শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজনমতো শরীরচর্চা সকলকেই করতে হবে। এছাড়াও আমাদের রান্নাঘরে এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়ম করে খেলে শরীর সুস্থ থাকে আর সেই সঙ্গে শরীরেও কোনও রকম সমস্যা আসে না। দেখে নিন সেগুলি কী কী
আপেল সিডার ভিনিগার- রোজ সকালে দিনের শুরু হোক এই আপেল সিডার ভিনিগারে। ইষদুষ্ণ জলে এক চামচ এই আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খান। এছাড়াও এর মধ্যে সামান্য একটু মধুও মেশাতে পারেন। আপেল সিডার ভিনিগার হার্টের জন্য ভাল তেমনই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও তা সাহায্য করে।
মধু-লেবু একসঙ্গে মিশিয়ে খান। ইষদুষ্ণ জলে এই লেবু, মধু মিশিয়ে খেলে শরীর থাকবে সুস্থ। রোজ নিয়ম করে খেলে ওজন কমবে। পেটের মেদ ঝরাতে হলে রোজ খান। এছাড়াও রোজ যদি দুপুরে খাবার খেয়ে একগ্লাস জলে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলেও শরীর ভাল থাকবে। লেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই পানীয় শরীরের জন্য এত ভাল।
মৌরি- মৌরির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এছাড়াও মৌরিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গরম পড়ছে তাই রোজ মৌরি-মিছরি মেশানো জল খান। এতে পেট ঠান্ডা থাকবে আর শরীর থাকবে সুস্থ।
কারিপাতা- কারিপাতা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে একই সঙ্গে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। কারিপাতা দিয়ে মাছ রান্না করতে পারেন। এছাড়াও ডালে কারিপাতা দিয়ে খেতে পারেন।