
কেউ হয়তো সম্পূর্ণ কেউ হয়তো কয়েকদিন বাড়ি থেকে কাজ করেন। ওয়ার্ক ফ্রম হোম করলে বাড়িতে দুপুরের রান্না করার একটা ঝক্কি থাকে। এদিকে অফিসের কাজের মাঝে বেশি কিছু করাও সম্ভব নয়। তাই দুপুরের খাবার চাই ঝামেলাহীন এবং সহজ। যাতে খাওয়ার আনন্দও বজায় থাকে আর কাজেও বিঘ্ন না ঘটে।
আগেভাগে খাবার প্রস্তুত করে রাখা যায়, তবে যদি মিটিং বা ডেডলাইনের মাঝখানে কিছুটা সময় মেলে, তাহলে চটজলদি ফ্রেশ রান্নাও করা সম্ভব। এই প্রতিবেদনে রইল তেমন কিছু সহজ ও সুস্বাদু লাঞ্চ আইডিয়া। যা রোজকার রান্নার সামগ্রী দিয়েই তৈরি করা সম্ভব তাও মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে।
১. সবজি খিচুড়ি:
এটি একটি সহজ, স্বাস্থ্যকর ও পরিপূর্ণ খাবার, যা চাল, ডাল ও সবজি দিয়ে তৈরি হয়। হজমে হালকা, পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং ব্যস্ত দিনে রান্না করতে খুবই কম সময় লাগে। প্রেসার কুকার বা ইনস্ট্যান্ট পট-এ দ্রুত রান্না করা যায়। আপনার হাতে থাকা যেকোনও সবজি দিয়ে এটি তৈরি করা যায়।
২. দই ভাত:
দক্ষিণ ভারতের একটি ঠান্ডা স্বাদের স্বাস্থ্যকর খাবার এটি, যেখানে রান্না করা ভাতের সঙ্গে দই মিশিয়ে, তার ওপর সর্ষে, কারিপাতা ও এক চিমটে হিং দিয়ে তড়কা দেওয়া হয়। গরম দিন বা শরীর ক্লান্ত থাকলে এটি খুব উপকারী। আপনি চাইলে এর সঙ্গে কুচোনো গাজর, শসা বা ডালিম দানাও মিশিয়ে নিতে পারেন।
৩. ডিম কারি ও ভাত:
যাঁরা ডিম খান, তাঁদের জন্য সেদ্ধ ডিম দিয়ে হালকা মশলার একটি অনিয়ন-টমেটো গ্রেভির কারি হতে পারে চমৎকার লাঞ্চ অপশন। সাধারণ ভাতের সঙ্গে খেলে এটি একেবারে তৃপ্তিদায়ক ও স্বস্তিদায়ক খাবার হয়ে ওঠে, এবং এতে পরিশ্রমও কম।
৪. পনির ভুর্জি র্যাপ:
পনির কুচি পেঁয়াজ, টমেটো ও মশলার সঙ্গে ভেজে বানানো যায় সুস্বাদু পনির ভুর্জি। এটি আটার রুটিতে মুড়ে র্যাপের মতো খাওয়া যায়। প্রোটিনে ভরপুর, সহজে তৈরি হয় এবং ডেস্কে বসেই খাওয়া যায়।
৫. বেসনের চিলা ও চাটনি:
বেসন, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা ও মশলা মিশিয়ে তৈরি হয় এই চিলা। এটি তাওয়ায় খুব দ্রুত সেঁকা যায়। পুদিনা বা নারকেলের চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। এটি প্রোটিনে ভরপুর, গ্লুটেন-ফ্রি এবং চাইলে এর ভেতরে পনির বা পালং শাক ভরাও যেতে পারে স্বাদ ও পুষ্টির জন্য।
বাড়ি থেকে কাজ করার সময় এই খাবারগুলি আপনাকে পুষ্টি ও সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে, যাতে কাজ ও স্বাস্থ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।