
দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ক্যালশিয়াম। দেহে এই পুষ্টির ঘাটতি থাকলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। একটু আঘাতেই হাড় ভেঙে যাওয়া, হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এখানেই শেষ নয়। স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে রক্ত জমাট বাঁধার কাজেও সাহায্য করে ক্যালশিয়াম। বিশেষত, মহিলাদের ৪০-এর পর দেহে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। কিন্তু ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে কথায় কথায় সাপ্লিমেন্ট খাওয়াও বিপজ্জনক। বরং, খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমেই শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা যায়। সাধারণত প্রতিদিনের ডায়েটে দুধ, দই, ছানা, ডিম রাখলেই দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম মেলে। কিন্তু আপনি যদি ভেগান হন, তখন কী করবেন?
ভেগানরা প্রাণীজ খাবার ছুঁয়ে দেখেন না। সবসময় ভরসা রাখেন উদ্ভিজ্জ খাবারের উপর। আর উদ্ভিজ্জ খাবারের মাধ্যমে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা বেশ কঠিন। তবে, অসম্ভব নয়। এমন বেশ কিছু ভেগান খাবার রয়েছে, যা সহজেই দেহে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে।
ডুমুর: একমাত্র পেট খারাপ হলেই মনে পড়ে ডুমুরের কথা। মাছের ঝোলেই একমাত্র স্থান পায় এই ফল। অথচ, ডুমুর ক্যালশিয়াম ও আয়রনে পরিপূর্ণ। মাত্র ২টো ডুমুরেই আপনি প্রায় ২৭ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম পেয়ে যাবেন। দেহে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে রোজ ডুমুর খান। এতে একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারবেন।
সোয়াবিন: দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ভেগানরা খান না। তবে, সোয়া পণ্য খেতে পারেন। এই উদ্ভিজ্জ পণ্যেও প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম রয়েছে। পেশি ও হাড়ের স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে সোয়া। সোয়াবিন থেকে শুরু করে সোয়া মিল্ক, তোফু খেতে পারেন।
শাক: পালং শাক, কেল থেকে শুরু করে ব্রকোলি ও অন্যান্য সবুজ শাক ও সবজি ক্যালশিয়ামে পরিপূর্ণ। তাছাড়া শাকসবজির মধ্যে আয়রন, ভিটামিন কে, ই, এ-এর মতো পুষ্টি পাবেন। নিরামিষ খাবার হিসেবে শাকপাতা দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করবে।
দানাশস্য: ওটস, রাগি থেকে শুরু করে যে কোনও ধরনের মিলেটের তৈরি খাবারে ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়। রোজের ডায়েটে গোটাশস্য রাখলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং হজম স্বাস্থ্য উন্নত হবে।
ডাল: যে কোনও ডালের মধ্যে আপনি ক্যালশিয়াম পেয়ে যাবেন। মুগ, মুসুর থেকে শুরু করে ছোলার ডাল, মটর ডালে ক্যালশিয়াম, ফাইবার ও প্রোটিন পাওয়া যায়। এক বাটি ডাল খেলেই দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে।