ডায়াবেটিসে ফাইবার খাবারেই হবে বাজিমাত, ফল ও সবজির খেলেও কি মানতে হবে এই নিয়ম?
Fruits and Vegetables for Diabetes: ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের ওটস, আটার তৈরি খাবার, বার্লি, ডালিয়া, ব্রাউন রাইসের মতো খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। গোটা শস্যের সঙ্গে শাকসবজি ও ফলও খেতে হবে।

ডায়াবেটিসের রোগীদের সব ধরনের খাবার চলে না। এমন খাবারই বেছে নিতে হয়, যার মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের ওটস, আটার তৈরি খাবার, বার্লি, ডালিয়া, ব্রাউন রাইসের মতো খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। গোটা শস্যের সঙ্গে শাকসবজি ও ফলও খেতে হবে। অন্যথায়, দেহে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। কিন্তু অনেক ফল ও সবজিতে সুক্রোজ ও ফ্রুক্টোজের মতো শর্করা থাকে, যা মোটেই ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী নয়। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা কী-কী ফল ও সবজি খাবেন, রইল টিপস।
আপেল: আপেলের মধ্যে প্রাকৃতিক শর্করা থাকলেও এই ফলে ফাইবার রয়েছে। আপেলের মধ্যে থাকা ফাইবার রক্তে চিনির শোষণ পদ্ধতিকে ধীর করে দেয়। আপেল খোসা সমেত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
বেরি: ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরির মতো ফলে শর্করার পরিমাণ খুব বেশি থাকে না। তবে, উচ্চ পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন রয়েছে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এই ফল দারুণ উপযোগী।
পালংশাক: ডায়াবেটিসের রোগীরা পালংশাক খেতে পারেন। এই শাকের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর কার্বোহাইড্রেট নেই বললেই চলে। পাশাপাশি ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে।
ব্রকোলি: শীতের পর এই সবজি দেখা পাওয়া যায় না। তাই হাতে সময় কম। ব্রকোলির মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ কম আর ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এছাড়াও ব্রকোলিতে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ব্রকোলি উপকারী।
গাজর: গাজরের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে গাজরের মধ্যে। এছাড়া ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কম গাজরের মধ্যে। ডায়াবেটিসের রোগীরা গাজর খেতে পারেন।
অ্যাভোকাডো: বাজারে সহজে দেখা মেলে না অ্যাভোকাডোর। আর একটা অ্যাভোকাডো প্রায় ১৫০টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হয়। এই ফলের পুষ্টিগুণ ও চাহিদার কারণেই এত দাম। তবে, ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এই ফলই উপকারী। অ্যাভোকাডোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। তাছাড়া এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। তাছাড়া এই ফল হৃদরোগের ঝুঁকি কম।
