Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দুর্বিষহ শৈশব,ব্যর্থ প্রেম! আইআইটিয়ান বাবার পরতে পরতে টুইস্ট

মা-বাবার অশান্তি, প্রেমে ছ্যাঁকা, ঘেঁটে থাকা ছোটবেলা! ট্রমার ফলেই কি সাধুসঙ্গ বাছলেন আইআইটিয়ান বাবা? এমন অনেক প্রশ্নই উঠে আসছে। মহাকুম্ভের আইআইটিয়ান বাবা এখন ভাইরাল। কেন চার বছরের প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তাঁর।

দুর্বিষহ শৈশব,ব্যর্থ প্রেম! আইআইটিয়ান বাবার পরতে পরতে টুইস্ট
Follow Us:
| Updated on: Jan 17, 2025 | 8:15 PM

প্রেম ভাঙলে অনেকের জীবনই উথাল পাতাল হয়ে যায়। এ যেন তেমনই এক গল্প। এই মুহূর্তে ভাইরাল মহাকুম্ভের আইআইটিআন বাবা। আসল নাম অভয় সিং। প্রয়াগরাজে আয়োজিত কুম্ভে আনুমানিক ৪০ কোটি পূণ্যার্থী স্নান করতে এসেছিলেন। বহু সাধু-সন্তরা এসেছিলেন দেশ-বিদেশ থেকে। এর মধ্যে নজর কেড়েছেন বহু বাবা বা সাধুরা। কেউ বছরের পর বছর ধরে এক হাত তুলে রেখেছেন, কেউ আবার শুধু চা খেয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে একজন বিখ্যাত হয়েছেন, যিনি আইআইটি বাবা নামে পরিচিত। ঝরঝরে ইংরেজিতে তাঁর কথায় অবাক হয়েছিলেন সাংবাদিকরা। জিজ্ঞাসা করতেই জানা যায়, হরিয়ানার বাসিন্দা ওই সাধু আইআইটি বম্বে থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। যেখানে মাসে মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জনের পথ খোলা ছিল তাঁর সামনে, সেখানেই তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন ধর্মের জন্য। তাহলে কি তাঁর জীবনে কোনও দিনও প্রেম আসেনি? প্রশ্ন শুনতেই হেসে উঠলেন আইআইটিআন বাবা।

চার বছরের প্রেম ভাঙার কাহিনিই বললেন। একটি সাক্ষাত্‍কারে আইআইটিআন বাবা বলেছেন, “ছোটবেলা থেকেই আমি মা-বাবার অশান্তি দেখে বড় হয়েছি। যা অনেকটাই আমার মনে প্রভাব ফেলেছিল। তবে মাঝে সে সবের প্রলেপ পড়েছিল। কিন্তু পড়াশোনা করতে করতে যখন একটি শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছিলাম গার্হস্থ্য হিংসা নিয়ে। তখনই আবার ছোটবেলার সেই তিক্ত স্মৃতিগুলো ফিরে ফিরে আসতে থাকে। যা আমার মনে খুবই প্রভাব ফেলেছিল। তখনই আমার প্রেমিকাকে বলেছিলাম সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ বার বার মনে হয়েছিল সম্পর্ক রেখে কী লাভ সেই তো ঝামেলা অশান্তি হবে। চার বছরের প্রেম তাই ভেঙে দিই। ”

উল্লেখ্য কী ভাবে সাধু হয়ে গেলেন তিনি? আইআইটি বম্বে থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি চার বছর মুম্বইয়ে ছিলেন। বড় কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কিন্তু তাতে মন টিকত না। কারণ, তাঁর পেশা অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং হলেও, নেশা ছিল ফটোগ্রাফি। ঠিক যেন থ্রি ইডিয়টস-র গল্প। সেখানে যেমন ফারহান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষে এসে নিজের নেশা ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফিকে বেছে নিয়েছিলেন, তেমনই অভয়ও নিজের নেশাকে বেছে নেন মোটা টাকার মাইনের চাকরি ছেড়ে। আর ফটোগ্রাফির নেশাই তাঁকে ধর্মের কাছাকাছি নিয়ে আসে। বদলাতে শুরু করে জীবন। একটি কোচিং সেন্টারও খোলেন, ফিজিক্স পড়াতেন। কিন্তু মনের শান্তি কোথাও মিলছিল না। এরপরেই বড় সিদ্ধান্ত নেন। পুরো জীবনটাই শিবের আরাধনায় উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন।