
বাজারে একটা পিস অ্যাভোকাডোর দাম ১৫০ টাকার কাছাকাছি। ৫০০ গ্রাম ওটস কিনতে গেলেও আপনাকে ১০০ টাকা খরচ করতে হবে। ব্রকোলি, বেলপেপারের মতো সবজির আকাশ ছোঁয়া দাম। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে গেলে গাঁটের কড়িও খসাতে হয়। মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে যদি খাবারের দাম হয়, তাহলে ডায়েট করবেন কীভাবে? আর কীভাবেই বা ওজন কমাবেন? পুষ্টিকর খাবার মানেই যে দামি, তা কিন্তু নয়। একটু বুদ্ধি খরচ করে বাজার করলেই পুষ্টিকর খাবার খাওয়া সম্ভব। পকেটের উপর চাপ না বাড়িয়ে কীভাবে মাসকাবারি, সবজিপাতির বাজার করবেন, রইল টিপস।
১) বাজার করার আগে কী-কী খাবার, কখন খাবেন সেটা আগে ঠিক করুন। অর্থাৎ, ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিন। সেই মতো বাজার করতে সুবিধা হবে। পুষ্টিবিদের পরামর্শও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আগে থেকে বাজেট জানিয়ে রাখবেন।
২) বাজেটের উপর নির্ভর করে বাজার দোকান করতে হবে। সবসময় মরশুমি শাকসবজি, ফলের উপর ভরসা রাখুন। মরশুমি শাকসবজি ও ফল তাজা ও পুষ্টিকর হয়। আর এগুলোর দামও কম হয়। আপনি যদি গরমে ব্রকোলি খেতে চান, সেখানে একটু বেশিই খরচ করতে হবে।
৩) সারা সপ্তাহের বাজার একদিনে করুন। আজকাল সবার বাড়িতেই ফ্রিজ রয়েছে। চাইলে ১৫ দিনের বাজারও করে রাখতে পারেন। একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণ জিনিস কিনলে দাম কম পড়ে।
৪) অনলাইন শপিং অ্যাপ থেকে বাজার দোকান না করাই ভাল। অনলাইন শপিং সেন্টার থেকে জিনিস কিনলে দাম বেশি পড়ে। তার চেয়ে আঞ্চলিক বাজার থেকেই সবজিপাতি, মুদিখানা কিনুন। এতে বেশি সাশ্রয় হবে।
৫) ওজন কমাতে গেলে ডায়েটে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট পাতে রাখতেই হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে চিকেন, ডাল খান। প্রোটিন বার না খেলেও চলবে। আবার ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে ব্রাউন রাইস বা কিনোয়া খাওয়ার দরকার নেই। ডালিয়া, আটার রুটি খেলেও চলবে। আর স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে ছোলা, চিঁড়ে, অঙ্কুরিত মুগ ডাল খেতে পারেন। সবসময় মাখানা, আমন্ড খেতেই হবে এমন কোনও নিয়ম নেই।