জন্ম থেকে মৃত্যু, তার পর আত্মার যাত্রা এমন অনেক কিছুই লেখা রয়েছে গরুড় পুরাণে। মৃত্যুর পরে কী হয়? সকলের মনেই এই কৌতূহল। অনেকের মনেই আসে এমন প্রশ্ন। কিন্তু মৃত্যুর পর কী যে হয় তা সকলেরই অজানা। এমন অনেক গোপন রহস্যের কথা বলা হয়েছে গরুড় পুরাণে। এমনকি মৃত্যুর পর আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কেও অনেক নিয়মের উল্লেখ রয়েছে। যেমন গড়ুর পুরাণ অনুযায়ী মৃত্যুর পরেও আত্মা সেই ঘরেই থাকে।
গরুড় পুরাণ অনুসারে মৃত্যুর পরে মানুষের দেহের আত্মা ১৩ দিন পর্যন্ত নিজের বাড়িতেই থাকে। এই কারণেই মৃত্যুর ১৩ দিনে ধরে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়। মৃতের আত্মার জন্য প্রতি দিন খাবার দেওয়া হয়। এর পরে নির্দিষ্ট দিনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হয়। মৃত্যুর পর যতদূতরা আত্মাকে যমালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে তার কৃতকর্মের হিসাব করা হয়। ২৪ ঘণ্টা পর আত্মা আবার নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। কারণ, তখনও নিজের পরিবারের প্রতি আসক্তি থাকে সেই মৃতব্যক্তির। আত্মীয়-স্বজনদের মাঝেই ঘুরে বেড়ায় সেফ পরিবারের মানুষদের কণ্ঠ না শুনলে অস্থির হয়ে পড়ে সে।
পিন্ডদানের সময় যমলোকে যায় সে। এমনটাই লেখা হয়েছে গরুড় পুরাণে। কারণ সে সময় সেই আত্মা এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে কোথাও ভ্রমণ করতে পারে না। পিন্ডদানের সময় দেওয়া খাবার এক বছর আত্মাকে শক্তি দেয়। তাই পিন্ডদানকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, যাঁদের পিন্ডদান করা হয় না তাদের মৃত্যুর ১৩ তম দিনে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় যমালোকে। জীবদ্দশায় যাঁরা খারাপ কাজ করেছেন তাদের নাকি এভাবে খুবই কষ্ট পেতে হয়। এমনটাই বলা হয়েছে গরুড় পুরাণে। এর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।