
ফের শুরু হচ্ছে বিয়ের মরশুম। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আবার বাজবে সানাই। কোভিডের পর থেকে বেড়েছে বিয়ের হিড়িক। আঘ্রাণ মাস যেমন বাঙালিদের বিয়ের জন্য প্রিয় মাস তেমনই মাঘ থেকেও জোর কদমে শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। চলবে এখন দু’মাস ধরে। বন্ধুরা বিয়ে, আত্মীয়ের বিয়ে, বোন-দিদি-দাদার বিয়ে….মোটকথা তালিকাটা থাকে বেশ লম্বা। বাঙালিদের বিয়ে মানে এখন টানা তিন থেকে চার দিনের উৎসব। আইবুড়োভাত দিয়ে শুরু । এরপর সঙ্গীত, মেহেন্দি, গায়েহলুদ, বিয়ে একাধিক অনুষ্ঠান থাকে। আর বিয়ের আগে প্রিয়জনকে বালো মন্দ খাওয়াতে সবাই মুখিয়ে থাকে।
আজ থেকে ৫ বছর আগে বাড়িতেই এই আইবুড়োভাতের আয়োজন করা হত। আর এখন আইবুড়োভাতের প্যাটার্ন বদলে গিয়েছে। বাড়িতে যেমন পছন্দের রান্না করে অনেকে খাওয়ান তেমনই প্রচুর বাঙালি রেস্তোরাঁতেও থাকে গুছিয়ে আয়োজন
ফুলের মালা, বরণ ডালা, কুলো, প্রদীপ, শঙ্খ, পায়েস কোনওটাই বাকি থাকে না। সঙ্গে ওই ৫ রকম ভাজা, তরকারি, ডাল এসব তো থাকেই। আইবুড়োভাত বলে কথা। জীবনের বিশেষ দিনে প্রবেশের আগে সবার শুভেচ্ছা, আর্শীবাদ তো চাই তবে এমন দিনে সুন্দর করে সাজতেও তো হবে। অনেকেই আইবুড়োভাতের অনুষ্ঠানে শাড়ি পরে সুন্দর করে সাজেন।
তবে কাজের চাপের কারণে সব সময় শাড়ি পরা সম্ভব হয় না। বন্ধুরা যেমন আইবুড়োভাত খাওয়ায় তেমনই আইবুড়ো পার্টিও হয়। এবার অনেকেই সমস্যায় পরেন এই সব দিনে কেমন পোশাক বাছবেন। হাতে সময় থাকবে শাড়ি পরতে পারেন। নইলে পছন্দের কোনও ড্রেস পরতে পারেন। যেতে পারেন পছন্দের কুর্তি পরে। যে পোশাকে নিজে আরামে থাকতে পারবেন তেমনই পোশাক পরুন। অফিস থেকে গেলে সব সময় কুর্তি বা শাড়ি পরার সুযোগ থাকে না। আর তাই সুযয়োগ না থাকলে জোর করে কিছু পরতে যাবেন না।
যে পোশাকে আপনি নিজে স্বাচ্ছন্দ্য পাবেন তেমনই পোশাক বেছে নিন। নিমন্ত্রণে হালকা সাজুন এতে দেখতে স্নিগ্ধ লাগবে আর ছবিও বেশ ভাল উঠবে। আসল আইবুড়োভাতের অনুষ্ঠানের দিন তো নিজে সুন্দর করে সাজবেনই। তাই আগে থেকে এত জাঁকজমক করে না সাজলেও চলবে। বরং কুল ক্যাজুয়ালে থাকুন। এতেই সবচেয়ে বেশি ভাল লাগবে।