Potato for Weight Loss: শুধু আলু সেদ্ধ খেয়েই কমাতে পারেন ৫ কেজি, বিশ্বাস না হলে নিজেই পরখ করে দেখুন
Weight Loss Tips: আলুতে যে পুষ্টি নেই এই ধারণা কিন্তু এক্কেবারে ভুল। আলুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখবে। একটি মাঝারি সাইজের আলুতে প্রায় ৮০ ক্যালোরি থাকে। তাই আলুর তৈরি কোনও খাবার খেলে শরীরে কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়।

ক্যানসার হোক বা ডায়াবেটিস, বেশিরভাগ ক্রনিক অসুখের পিছনে দায়ী ওবেসিটি। দেহের বাড়তি ওজন একাধিক রোগ ডেকে আনে। তাছাড়া ওজন কমালে চেহারার গঠন ঠিক থাকে। কিন্তু সমস্যা হল, ওজন কমানো। শরীরচর্চা ও ডায়েট দুটোই সমান জরুরি। খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অনেকেই সচেতন থাকেন। ওজন কমানোর জন্য ডায়েট থেকে বাদ দেন ভাত-আলু। অথচ, অনেকের ভরসা এই আলুই। এবার প্রশ্ন, আলু খেলে কি সত্যি ওজন কমানো কঠিন হয়ে যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আলুতে যে পুষ্টি নেই এই ধারণা কিন্তু এক্কেবারে ভুল। আলুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখবে। একটি মাঝারি সাইজের আলুতে প্রায় ৮০ ক্যালোরি থাকে। তাই আলুর তৈরি কোনও খাবার খেলে শরীরে কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়। আলুর মধ্যে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ও পটাশিয়মের মতো উপাদান রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। দেহে একাধিক অঙ্গের কাজের জন্য এসব উপাদান জরুরি। তাছাড়া আলুর মধ্যে কার্বসও রয়েছে, যা দেহে কাজ করার শক্তি জোগায়।
আলু খেয়ে কিন্তু রোগা হওয়া যায়। আলু সহজপাচ্য খাবার। এই খাবার খেলে পেটের গণ্ডগোল বা হজমের সমস্যা হয় না। কিন্তু আলু খেতে হবে সঠিক উপায়ে। কীভাবে আলু খেলে ওজন কমবে, জেনে নিন।
১) আলুর তৈরি কোনও পদ খাওয়ার ৬-৭ ঘণ্টা আগে সেটা রান্না করে রাখুন।
২) যখন পাতে আলু রাখবেন, তার সঙ্গে আর কোনও খাবার রাখবেন না।
৩) আলুকে স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন। যেহেতু এতে প্রোটিন রয়েছে, যা তাই এই খাবার পেটকে ভর্তি রাখবে।
৪) আলু সেদ্ধ খাওয়াই ভাল। তবে, তাতে মাখন, চিজ মেশাবেন না ভুল করেও। শুধু নুন ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে আলু সেদ্ধ খান।
৫) আলু দিয়ে চিপস, পকোড়া, ভাজাভুজি স্ন্যাকস বানিয়ে খাবেন না। এতে ওজন কমবে না এবং ওজন বেড়ে যেতে পারে।
