
বর্ষাকালে আবহাওয়া আর্দ্র এবং স্যাঁতসেঁতে থাকে। ফলে শরীরে ঘাম বেশি হয় এবং ঘামের সঙ্গে মিশে থাকা ব্যাকটেরিয়া দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। বিশেষত কর্মস্থল, স্কুল-কলেজ বা ভিড় জায়গায় গেলে ঘামের দুর্গন্ধ অন্যদের অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। কয়েকটি ঘরোয়া ও সহজ নিয়ম মেনে চললে বর্ষাকালেও সতেজ থাকা সম্ভব।
১. নিয়মিত স্নান করুন – বর্ষায় দিনে অন্তত দু’বার স্নান করা সবচেয়ে জরুরি। শরীর পরিষ্কার রাখলে ঘামে জমা ধুলো ও জীবাণু দূর হয়। স্নানের সময় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমে যায়, ফলে দুর্গন্ধও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. হালকা ও সুতি পোশাক বেছে নিন – বর্ষাকালে নাইলন বা সিনথেটিক কাপড় পরলে ঘাম শরীরে আটকে যায়, আর সেখানেই ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বেড়ে ওঠে। এর বদলে হালকা, ঢিলেঢালা ও সুতি পোশাক পরুন। সুতির কাপড় বাতাস চলাচল করতে দেয় এবং ঘাম শুকোতে সাহায্য করে, ফলে দুর্গন্ধ কমে।
৩. আন্ডারআর্ম ও পা পরিষ্কার রাখুন – দুর্গন্ধ সাধারণত আন্ডারআর্ম, ঘাড়, পিঠ ও পায়ের মতো জায়গায় বেশি হয়। প্রতিদিন এই অংশগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকনো রাখুন। প্রয়োজনে বেবি পাউডার ব্যবহার করতে পারেন, যা ঘামের আর্দ্রতা কমিয়ে দুর্গন্ধ প্রতিরোধ করে।
৪. ডিওডোরেন্ট ও ন্যাচারাল রেমেডি ব্যবহার করুন – ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পির্যান্ট ব্যবহার করলে ঘামের গন্ধ অনেকটাই কমে যায়। তবে বাজারি স্প্রের বদলে চাইলে ঘরোয়া কিছু উপায়ও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন আন্ডারআর্মে লেবুর রস মাখলে ব্যাকটেরিয়া কমে যায়। সামান্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে গন্ধ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ঘামে সতেজ সুবাস আনতে পারে।
৫. পর্যাপ্ত জল পান করুন – বর্ষাকালে অনেকে জল কম খান, কারণ আবহাওয়া ঠান্ডা লাগে। কিন্তু শরীরে জল কম থাকলে ঘামের ঘনত্ব বেড়ে দুর্গন্ধ তীব্র হয়। তাই দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস জল পান করা উচিত।
৬. খাবারে নজর দিন – রসুন, পেঁয়াজ, অতিরিক্ত মশলাদার বা জাঙ্ক ফুড ঘামের দুর্গন্ধ বাড়িয়ে দেয়। বর্ষায় যতটা সম্ভব হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত। শাকসবজি, ফল, দই শরীর ঠান্ডা রাখে এবং গন্ধ কমায়।