Baba Ramdev: এই যোগাসন করলে ম্যাজিকের মতো আপনার শরীরেও আসবে শক্তি!

Patanjali, Baba Ramdev: শরীরকে সচল রাখতে আপনি যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। প্রথমত, যোগ ব্যায়াম করতে বাড়তি কোনও সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়াও যোগ ব্যায়াম আপনার শরীরকে সক্রিয় ও নমনীয় রাখে। শারীরিক শক্তি বাড়ায় ও মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল করে।

Baba Ramdev: এই যোগাসন করলে ম্যাজিকের মতো আপনার শরীরেও আসবে শক্তি!
এই আসন করলে সুস্থ থাকবে শরীর!

Nov 11, 2025 | 1:28 PM

আজকের জীবনে আমরা সবাই ব্যস্ত। কেউ অফিস, কেউ ব্যবসা আবার কেউ অন্য কোনও কাজে। আর তারপর বেশিরভাগ মানুষের মাথার উপরই রয়েছে পরিবারের দায়িত্ব। সেই সব নিয়ে মানুষ নিজের জন্য সময় বের করতে অনেক সময়ই হিমশিম খায়। অনেকেই অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করে। আর এই সবই অর্থাৎ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বা মানসিক চাপ, সব মিলিয়েই একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আমাদের উপর। খারাপ হয় মন থেকে শরীর। তবে, কেউ যদি কিছুটা হলেও সময় বের করে ব্যায়াম করে, তাহলে তার চেয়ে ভাল কিছু আর হয় না।

শরীরকে সচল রাখতে আপনি যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। প্রথমত, যোগ ব্যায়াম করতে বাড়তি কোনও সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়াও যোগ ব্যায়াম আপনার শরীরকে সক্রিয় ও নমনীয় রাখে। শারীরিক শক্তি বাড়ায় ও মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল করে। যোগগুরু বাবা রামদেবও নিয়মিত যোগ ব্যায়াম অনুশীলনের পরামর্শ দেন।

হমুমান আসন

বাবা রামদেব ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা তাঁর একটি ভিডিয়োয় বলেছেন কীভাবে এই আসন করতে হয়। প্রথমে, একটি পা সামনের দিকে এবং অন্য পা পিছনের দিকে নিয়ে গিয়ে তার উপর ভর দিয়ে বসতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে কোমর এবং ঘাড় পিছনের দিকে বাঁকানো হয়। এটি কোমরের নমনীয়তা বৃদ্ধি করতে, পায়ের পেশী শক্তিশালী করতে এবং পা এবং হাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

হনুমান দণ্ডাসন

এই আসন করার জন্য প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর দুই হাত কাঁধের ঠিক নীচে রাখুন। আপনার পা সোজা রাখুন। এবার, আপনার হাতে ভর দিয়ে বুক এবং শরীর মাটি থেকে তুলুন। একদিকে হাতের উপর থাকবে শরীর ভর। অন্যদিকে, পায়ের পাতার উপর। শরীরকে সোজা রেখে প্রথম একটি পা তারপর অন্য পা সামনের দিকে নিয়ে আসুন।

ভুজঙ্গাসন

বাবা রামদেব ভিডিয়োতে বলেছেন ভুজঙ্গাসনও খুবই উপকারী। এই আসন করতে প্রথমে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর দুই হাত কাঁধের ঠিক নীচে রাখুন। আপনার পা সোজা রাখুন। এবার, হাতে ভর দিয়ে শরীরের শুধু সামনের দিকটা উপরের দিকটা তুলুন। কনুই সম্পূর্ণ প্রসারিত করবেন না। কোমর উল্টো দিকে ভাঁজ হবে। আপনি তাকিয়ে থাকবেন আকাশের দিকে। এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থেকে পুনরায় ফিরে আসুন সাধারণ অবস্থায়।