সানস্ক্রিন এড়িয়ে যাচ্ছেন? জানেন ক্রমশ বাড়াচ্ছেন ক্যানসারের ঝুঁকি
রোদের তেজ থেকে বাঁচতে ফুলহাতা জামা পরেছেন নিশ্চয়ই। স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রেখেছেন মুখ-গলাও। কিন্তু পায়ের পাতায় যে রোদ এসে পড়ছে, সে খেয়াল আছে কি? তাই সানস্ক্রিন ছাড়া বেরোনো মানেই বিপদ।

দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা ৪০-এর আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। রোদের তাপেও যেন গা-হাত পুড়ে যাচ্ছে। তাই সানস্ক্রিন না মেখে বেরোনো ছাড়া উপায় নেই। রোদের তেজ থেকে বাঁচতে ফুলহাতা জামা পরেছেন নিশ্চয়ই। স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রেখেছেন মুখ-গলাও। কিন্তু পায়ের পাতায় যে রোদ এসে পড়ছে, সে খেয়াল আছে কি? তাই সানস্ক্রিন ছাড়া বেরোনো মানেই বিপদ।
সানস্ক্রিন ত্বককে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। ট্যান, সান বার্ন, পিগমেন্টেশনের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। পাশাপাশি স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয় সানস্ক্রিন। তবে দিনের পর দিন সানস্ক্রিন না মাখার অর্থ হল, ত্বকের ক্ষতি করা। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। রোদে সানস্ক্রিন না মেখে বয়সের আগে ত্বক বুড়িয়েও যেতে পারে।
আজকাল তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এই সময় এসপিএফ ৩০ বা ৫০ যুক্ত সানস্ক্রিন আপনাকে মাখতেই হবে। এতে আপনার ত্বক সূর্যালোকের হাত থেকে ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ সুরক্ষিত থাকতে পারবে। মুখের পাশাপাশি হাত-পায়েও সানস্ক্রিন মাখা জরুরি। যদি রোদে ঘুরে ঘুরে কাজ করতে হয়, তাহলে সঙ্গে সানস্ক্রিন নিয়ে বের হোন। ২-৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তর সানস্ক্রিন মাখুন।
বাজারে বিভিন্ন আকারে সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। কোনওটা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য, আবার কোনওটা শুষ্ক ত্বকের জন্য। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক সানস্ক্রিন বেছে নিন। হাত-পায়ে সানস্ক্রিন ব্যবহারের জন্য সানস্ক্রিন স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। ক্লিনজিং, টোনিং, সিরাম, ময়েশ্চারাইজারের পর সানস্ক্রিন মাখুন। যদি মেকআপ করতে পছন্দ করেন, তাহলে এমন ফাউন্ডেশন, টিন্টড বা কমপ্যাক্ট পাউডার বেছে নিন যার মধ্যে এসপিএফ রয়েছে।
