
ত্বক ও চুলের যত্নে বরাবরই অ্যালোভেরার কদর বেশি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেলই ব্যবহার করা হয়। কাজ দেয় ঠিকই। কিন্তু অনেক সময় বারতি যত্নেরও প্রয়োজন পড়ে। বিশেষত চুলের ক্ষেত্রে। চুলের হাজারো সমস্যাকে প্রতিরোধ করার জন্য অ্যালোভেরার মাস্ক ব্যবহার করা দরকার। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই আপনি অ্যালোভেরার মাস্ক বানাতে পারেন। রইল ৩টি অ্যালোভেরার মাস্কের খোঁজ।
অ্যালোভেরা ও দইয়ের মাস্ক
এই হেয়ার মাস্ক আপনাকে খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি স্ক্যাল্পে আর্দ্রতা ও পুষ্টি জোগাবে। ২ চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ২ চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এতে ২ চামচ মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত এই হেয়ার মাস্ক চুলে মাখিয়ে নিন। এরপর ১০ মিনিট স্ক্যাল্পে মালিশ করুন। তারপর ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের পর শ্যাম্পু ও হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
অ্যালোভেরা ও নারকেল তেলের মাস্ক
রুক্ষ-শুষ্ক চুলে প্রাণ এনে দিতে পারে অ্যালোভেরা ও নারকেল তেলের হেয়ার মাস্ক। চুলের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে আপনি এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ২ চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ২ চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ৩০ মিনিট কম আঁচে রেখে গরম করে নিন। এবার এই মিশ্রণটি স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। এরপর মাথায় শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে নিন। ৩ ঘণ্টা রাখুন। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার আপনি এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা ও নারকেলের দুধের মাস্ক
নারকেল তেলের মতো নারকেলের দুধও চুলের জন্য উপযোগী। এই হেয়ার মাস্ক চুলকে নরম ও মোলায়েম করে তুলতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি চুলের অকাল বার্ধক্যকে রোধ করবে। অর্থাৎ পাকা চুলের সমস্যাকে দূর করবে। ৩ চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ৩ চামচ নারকেলের দুধ ও ১ চামচ নারকেলের তেল মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর এটি চুল ও স্ক্যাপে লাগিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা পর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই পেয়ে যাবেন মসৃণ চুল। এই হেয়ার মাস্কও আপনি সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করতে পারেন।