
ছোট থেকে বড় সকলেরই ত্বকের যত্ন প্রয়োজন হয়। তবে কিশোরদের ত্বকে সচারাচর কোনও সমস্যা দেখা দেয় না। বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণর সমস্যা থাকলেও সেটা সময়ের সঙ্গে নির্মূল হয়ে যায়। বয়ঃসন্ধিকালে যে ব্রণর সমস্যা দেখা দেয় তার ৯০ শতাংশই কুড়ির কোঠা পেরোনোর আগে সমাধান হয়ে যায়। এছাড়া সেই রূপ কোনও ত্বকের সমস্যা এই বয়সে দেখা যায় না। এই বয়সে ত্বক কোনও প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার না করাই ভাল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা বুঝতে পারে না তাদের ত্বকের ধরন। নিখুঁত ত্বকের আশায় ভুল পণ্য বেছে নেন বেশিরভাগ মানুষ। আর এখানেই তৈরি হয় ত্বকের সমস্যা। এই কারণে প্রসাধনী পণ্যের বদলে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নেওয়া বেশি ভাল। যদি কেউ বয়ঃসন্ধিকালীন ব্রণর সমস্যায় ভুগে থাকেন কিংবা ত্বকের পরিচর্চার জন্য কোনও ফেসপ্যাকের খোঁজে থাকেন, তাহলে এই ৩টি ফেসপ্যাক ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
ব্রণর সমস্যার জন্য ফেসপ্যাক
বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণ হওয়া খুব সাধারণ বিষয়। ব্রণর সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে আপনি ওটস দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। ১ চামচ ওটমিল নিন। তাতে ১ চা চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু যোগ করুন। উপাদানগুলোকে ভাল করে একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেই উপকার মিলবে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক
আপনার ত্বক যদি খুব তৈলাক্ত হয় তাহলে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ১ টা ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ চামচ শসার রস এবং ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ত্বকের উপর প্রয়োগ করুন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে শুকনো হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেই ত্বকের চিটচিটে ভাব কেটে যাবে।
উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য লুকিয়ে যে ফেসপ্যাকে
উজ্জ্বল ত্বক পেতে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা। ২ চামচ বেকিং সোডা নিন। এতে ১ চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ চামচ মধু যোগ করুন। উপাদানগুলোকে ভাল করে একে অপরের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকের উপর প্রয়োগ করুন এবং ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ফেসপ্যাক শুকিয়ে গেলে হালকা হাতে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে আপনি পেয়ে যাবে নিখুঁত ত্বক।