
রূপচর্চার অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার। বরং বলা চলে, এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে এসেনশিয়াল অয়েল। এসেনশিয়াল অয়েলের কয়েক ফোঁটাতেই কাজ সহজ হয়ে যায়। বিশেষত যখন প্রসঙ্গ রূপচর্চার তখন আরও সচেতনভাবে ব্যবহার করতে হয় এসেনশিয়াল অয়েলকে। আর এভাবেই রূপচর্চার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল। চা গাছের পাতা দিয়ে তৈরি করা হয় এই এসেনশিয়াল অয়েল।
টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েলের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই এসেনশিয়াল অয়েল ত্বককে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করে। কিন্তু যে কোনও এসেনশিয়াল অয়েল সরাসরি ত্বকের উপর প্রয়োগ করা যায় না। টি ট্রি অয়েলের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি ব্যতিক্রম নয়। যেহেতু এসেনশিয়াল অয়েল খুব স্ট্রং হয় তাই মুখে ব্যবহারের আগে হাতের ত্বকে সামান্য ব্যবহার করে দেখা দেয়। টি ট্রি অয়েলকে কীভাবে ব্যবহার করতে পারবেন, দেখে নিন…
ব্রণর সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে টি ট্রি অয়েল ভীষণ উপকারী। ব্রণর পাশাপাশি এটি ব্রণর দাগ, তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাও দূর করে দেয়। ব্রণর থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনি টি ট্রি অয়েল দিয়ে টোনার বানিয়ে নিতে পারেন কিংবা ফেসপ্যাকে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। ১ কাপ জল গরম করুন। তাতে গ্রিন টি-এর ব্যাগ ডুবিয়ে রাখুন ২-৩ মিনিট। তারপর ওই জলে ৪-৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল ফেলে দিন। এবার মিশ্রণটি একটা স্প্রে বোতলে ভরে টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন। একই ভাবে,মুলতানি মাটি, নিম পাতা বাটা ও গোলাপ জল দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। ওই ফেসপ্যাকে ২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার ওই ফেসপ্যাক ব্রণর উপর লাগান। এতে ধীরে ধীরে ব্রণর সমস্যা কমে যাবে।
টি ট্রি অয়েল ত্বকের সব ধরণের প্রদাহের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াই করতে পারে। ব্রণর প্রদাহ হোক কিংবা কোনও অ্যালার্জির সমস্যা, আপনি নিশ্চিন্তে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। টি ট্রি অয়েলের বৈশিষ্ট্যগুলি লালভাব, ফোলাভাব এবং ত্বকের জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে। এর জন্য আপনি নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা এই এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগান। এতেই প্রদাহ প্রশমিত হয়ে যাবে।
খুশকির সমস্যা দূর করতেও আপনি টি ট্রি অয়েলকে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার শ্যাম্পুর সঙ্গে ২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার ওই শ্যাম্পু দিয়ে স্ক্যাল্প ও চুল পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে শ্যাম্পু করলে আপনি খুশকির সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।