ভিটামিন শরীর এবং ত্বকে পুষ্টি জোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিনের ঘাটতিতে কালো দাগ, লালচে ভাব, বলিরেখা, ফাইন লাইনস এবং অতিরিক্ত শুষ্কতা দেখা দেয়। স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা প্রস্তাবিত তাদের উৎসগুলির একটি তালিকা তুলে ধরা রইল , শুধুমাত্র আপনাদের জন্য। দেখে নিন একঝলকে…
ভিটামিন এ (Vitamin-A)
এটি রেটিনল নামেও পরিচিত। এটি একটি যৌগ, যা ত্বকের নতুন কোষের উত্পাদনকে উদ্দীপিত করে তোলে। সক্রিয়ভাবে ব্রণ এবং অকাল বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি যেমন বলিরেখা গঠনের বিরুদ্ধে কাজ করে। প্রাকৃতিকভাবে গাজর, মিষ্টি আলু, ডিম, দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং পালং শাকের মধ্যে ভিটামিন এ পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি -৩ (Vitamin B 3)
নিয়াসিনামাইড বা নিকোটিনামাইড – ভিটামিন বি ৩- এর একটি রূপ । ভাল স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য দায়ী আটটি ভিটামিনের মধ্যে এটি একটি অন্যতম। জলের মধ্যে দ্রবণীয় ভিটামিন যা এর প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত। ব্রণের দাগ, হাইপারপিগমেন্টেশনের মতো ত্বকের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। মুরগির স্তন, টুনা, সালমন, চিনাবাদাম, সবুজ মটর, মাশরুম এবং আলু হল ভিটামিন বি-৩ সমৃদ্ধ কিছু খাবার।
ভিটামিন সি (Vitamic C)
ভিটামিন সি-এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ত্বককে ফ্রি র্যাডিকালের প্রভাব থেকে রক্ষা করে । কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন সি গ্রহণ ত্বকের নানান সমস্যা দূর করতে এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। সাইট্রাস ফল এবং শাকসবজি যেমন স্ট্রবেরি, টমেটো, আম, বেল মরিচ, ব্রকলি এবং ব্রাসেল স্প্রাউট হল ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস।
ভিটামিন ই (Vitamin E)
টোকোফেরল নামেও পরিচিত। ভিটামিন-ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে। ফ্রি র্যাডিকেলগুলি অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক কারণগুলির দ্বারা উত্পন্ন হয়। ভিটামিন ই এর প্রাকৃতিক উৎসের মধ্যে রয়েছে বাদাম, হেজেলনাট, সূর্যমুখী বীজ, জলপাই তেল, পালং শাক, ভুট্টা এবং আম।
আরও পড়ুন: Vitamin A for skin: ত্বক ও চুলের যত্নে ভিটামিন এ-র ভূমিকা রয়েছে অনেক!