দিনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটে অফিসে। সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিস যাওয়ার তাড়া। কোনওরকমে রেডি হয় ছুটতে হয় অফিসের জন্য। বাড়ির ফেরার সময় চোখে মুখে লেগে থাকে ক্লান্তি। আর বাড়ি ফিরে ফেসওয়াশ আর নাইটক্রিম। এখানেই শেষ দৈনন্দিন রূপচর্চা। কিন্তু এটাই ত্বকের জন্য যথেষ্ট নয়। দিনের ৮-৯ ঘণ্টা অফিসে কেটে যায় এবং অফিস যাওয়া-আসাতে আরও সময় যায়। তাহলে রূপচর্চার সরঞ্জাম অফিসে রাখবেন না কেন?
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে সারাক্ষণ বসে থাকা, তার উপর শীতের দূষণ। সব নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের ত্বক। এছাড়া কাজের চাপ রয়েছে। এটাও আমাদের ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। দীর্ঘ সময় কর্মক্ষেত্রে কাটালে ত্বকের ন্যূনতম খেয়াল রাখতেই হবে। এর জন্য ওয়াশরুমে বেশি সময় কাটাতে হবে না। বরং হ্যান্ডব্যাগে কিংবা অফিসের ড্রয়ারে কয়েকটি জরুরি জিনিস রেখে দিন। কাজের ফাঁকে লাগিয়ে নিলেই ত্বক থাকবে একদম তরতাজা।
লিপ বাম
আট ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে সময় কাটালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তাছাড়া এখন শীতের মরশুম। এই সময় ঠোঁট আরও ফাটে। তাই অফিসের ডেস্কে লিপ বাম রাখুন। কাজের ফাঁকে একটু করে লাগিয়ে নেবেন। এতে ঠোঁট নরম থাকবে।
হ্যান্ড ক্রিম
মুখের যত্ন নিলেও হাতের কথা কারও মনে থাকে না। কিন্তু হাতের প্রতি নজর দেওয়া ভীষণ জরুরি। শুষ্ক আবহাওয়ায় হাতের ত্বকও কিন্তু আর্দ্রতা হারায়। তাই হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করা জরুরি। অফিসের ব্যাগে হ্যান্ড ক্রিম রাখুন। কাজের ফাঁকে দিনে দু’বার মেখে নিলেই হাত নরম থাকবে। যতবার হাত ধোবেন, ততবার হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করা জরুরি।
ডিওডোরান্ট
চটজলদি ফ্রেশনেস পেতে ডিওডোরান্টের জুড়ি মেলা ভার। সুগন্ধ যুক্ত ডিওডোরান্ট সব সময় সঙ্গে রাখুন। শীতের দিনেও ডিওডোরান্ট সঙ্গে রাখুন। এতে নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। কর্মক্ষেত্রে ফ্রেশ দেখাবে।
লিপস্টিক
প্রায় সব মেয়েরই ব্যাগে একটা লিপস্টিক থাকে। এটা যেন আপনার অফিসের ব্যাগেও থাকে। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় মুখ থেকে ক্লান্তি ছাপ দূর করার জন্য একটু রঙ যথেষ্ট। অফিসের জন্য ন্যুড শেডের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।
কমপ্যাক্ট
সারাদিনের কাজের চাপ মুখে চোখে লক্ষ্য করা যায়। ল্যাপটপের স্কিনের দিকে তাকিয়ে দিনের অর্ধেক সময় কাটে ঠিকই, কিন্তু ত্বক যে তেলতেলে হয়ে যায়, সে দিকে কি খেয়াল রয়েছে? ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে মুখে কমপ্যাক্ট পাফ বুলিয়ে নিন। দেখতে আবার ফ্রেশ দেখাচ্ছে।