Whiten Teeth: সাদা দাঁতে চোখে লাগবে ধাঁধা! রইল ঝকঝকে দাঁত পাওয়ার দারুণ কার্যকরী ভেষজের খোঁজ

Ayurvedic remedy: সমস্যা হল, আমরা জামাকাপড় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে যতখানি মনোযোগ দিই, ততখানি দিই না দাঁতের ব্যাপারে। ফলে ধীরে ধীরে দাঁত কালো হতে থাকে।

Whiten Teeth: সাদা দাঁতে চোখে লাগবে ধাঁধা! রইল ঝকঝকে দাঁত পাওয়ার দারুণ কার্যকরী ভেষজের খোঁজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 11:27 PM

সুন্দর ঝকঝকে মুক্তোর মত দাঁতের (Whiten Teeth) স্বপ্ন কে না দেখে? হাসিতেই যেন মুক্তো ঝরে পড়ে, এমন সৌন্দর্যের জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। মুখের সৌন্দর্যের  (Beauty Tips) পিছনে হাসি যেমন একটি অংশ, তেমন দাঁতের অবদানও গুরুত্বপূর্ণ। ‘মুক্তোর মতো হাসি’ কথাটা এসেছে কোথা থেকে? অবশ্যই দুধসাদা দাঁতের সজ্জার জন্য! ‘ফোকলা দাঁতের হাসি, দেখতে ভালোবাসি’ কেই বা মন থেকে বলে বলুন? অতএব হাসির পিছনে ঝকঝকে দাঁতের যে বড়সড় ভূমিকা আছে তা নিয়ে সন্দেহ থাকা উচিত নয়। কালো দাঁত, হলুদ দাঁত, ছোপ পড়া দাঁত, পাথর জমা দাঁত— এমন নানা সমস্যায় আমরা অনেকেই জর্জরিত। সুন্দর দাঁতের জন্য কত লোকের চুম্বন অবধি পূর্ণতা পায় না! কত বেকার হয়তো পাশ করতে পারেন না ইন্টারভিউ!

অথচ সাদা চকচকে সাদা দাঁত থাকলে আপনি অন্যদের সহজেই নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারতেন! তাছাড়া পরিষ্কার দাঁত বাড়ায় আত্মবিশ্বাস। ফিরিয়ে দেয় মুখের শ্রী। মুখ খুলে ঝরঝর করে কথা বলতে বেগে পেতে হয় না মোটেও। সমস্যা হল, আমরা জামাকাপড় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে যতখানি মনোযোগ দিই, ততখানি দিই না দাঁতের ব্যাপারে। ফলে ধীরে ধীরে দাঁত কালো হতে থাকে। মুখের সৌন্দর্যও হারাতে থাকে। অথচ চাইলেই কয়েকটি সহজ উপাদান দিয়ে দাঁতের শ্রী ফেরানো যায়। দেখা যাক সেগুলি কী কী…

বেকিং সোডা: এই বিশেষ ঘরোয়া উপাদানটির দাঁত থেকে কালো দাগ ঘঁষে তুলে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। ফলে দাঁত থেকে যে কোনও ধরনের জেদি দাগ তুলতে বেকিং সোডার কোনওরূপ সমস্যা হয় না। বেকিং সোডাকে টুথপেস্টের মতো ব্যবহার করা যায়। তাই আঙুলের ডগায় বেকিং সোডা নিয়ে দাঁতে ঘঁষে নিন। সামান্য কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও যোগ করতে পারেন। কারণ লেবুর রসের ব্লিচিং ক্ষমতাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে আরও ভালো ফল মিলবে।

নারকেলের তেল: আয়ুর্বেদমতে নারকেল তেলের একাধিক গুণের মধ্যে রয়েছে দাঁত ঝকঝকে করার গুণও! তাই এক চামচ নারকেল তেল নিয়ে মুখে রাখুন। কুলকুচি করার কায়দায় সারা মুখে নারকেল তেল ছড়িয়ে দিন। প্রায় ১৫ মিনিট এমন করুন। এর ফলে লালার সঙ্গে নারকেল তেল মিশে যাবে। কুলকুচি করার ফলে মুখগহ্বরের এনজাইমগুলিও সক্রিয় হয়ে উঠবে। এইভাবে রক্ত স্রোতে থাকা নানা ক্ষতিকর পদার্থও বেরিয়ে আসে। ১৫ মিনিট পরে মুখ থেকে তেল ফেলে দিন। দুই থেকে তিন গ্লাস জল পান করুন।

কমলালেবু ও পাতিলেবুর খোসা: দাঁতের ওপর কমলা লেবু ও পাতিলেবুর খোসার ভিতরের অংশ দিয়ে ঘঁষলেও দাঁতে একটা ঝকঝকে ভাব আসে। কারণ পাতিলেবু ও কমলালেবুর খোসায় থাকে ডি লিমোনিন যা দাঁত সাদা রাখতে সাহায্য করে। চাইলে কয়েকফোঁটা পাতি লেবুর রস ফেলে দিতে পারেন খোসায়। তারপর ওই খোসা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা যায়।

হলুদ: সামান্য হলেও ব্লিচিং গুণ রয়েছে হলুদের। হলুদ প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিসেপটিক গুণসম্পন্ন। তাই দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। তবে সবচাইতে ভালো হয় কাঁচা হলুদ বা গেঁটে হলুদ ব্যবহার করতে পারলে। প্রথমে গেঁটে হলুদ বা কাঁচা হলুদের পেস্ট বানান। মোটামুটি এক চা চামচ হলুদের সঙ্গে অর্ধেক চা চামচ নারকেল তেল ও বেকিং সোডা মেশান। এইভাবে এই মিশ্রণকে টুথপেস্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

অ্যালোভেরা: একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে অ্যালোভেরা। এমনকী দাঁত সাদা করতেও অ্যালোভেরার জবাব নেই। বেকিং সোডা ও অ্যালোভেরা একসঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে পেস্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। দাঁত থেকে যে কোনওরকমের হলুদ ছোপ তুলে ফেলতে জুড়ি নেই অ্যালোভেরার। অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিকগুণসম্পন্ন অ্যালোভেরা মুখের স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপযোগী।