
মসৃণ, মোলায়েম ও স্বাস্থ্যকর চুল কার না ভাল আগে। কিন্তু সবার সুন্দর চুল হয় না। চুল পড়া, খুশকি, ফ্রিজিনেসের সমস্যা বারো মাস লেগেই থাকে। তার সঙ্গে রোজের জীবনে চুলে রং করানো, নিত্যনতুন স্টাইল করা, নতুন-নতুন প্রসাধনীর ব্যবহার চলতেই থাকে। এগুলোই মূলত আপনার চুলের বারোটা বাজায়। কিন্তু চুলে স্টাইল করেও তার স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায়। চুলের টেক্সচার উন্নত করতে আপনাকে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নিতে হবে। মা-ঠাকুমাদের টোটকাকে কাজে লাগাতে হবে। তার সঙ্গে রোজের জীবনে চুলের পরিচর্চা অল্প বিস্তর বদল আনতে হবে। তবেই, পুজোর আগে পাবেন সিল্কি চুল।
নারকেল তেল- নারকেল তেল আপনার চুলে উজ্জ্বল এনে দেয়। এই তেলের মধ্যে বিভিন্ন ভিটামিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা চুলকে মসৃণ ও নরম করে তোলে। পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে। নারকেল তেলকে অল্প করে নিয়ে স্ক্যাল্প ও চুলে মালিশ করুন। শ্যাম্পু করার ২০-২৫ মিনিট আগে এই কাজটা করলেই পাবেন সুন্দর চুল। তবে, চুল ধোয়ার জন্য আপনাকে মাইল্ড শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে।
অ্যালোভেরা- চুলের যত্নে যুগ যুগ ধরে অ্যালোভেরা ব্যবহার হয়ে আসছে। অ্যালোভেরা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পাশাপাশি স্ক্যাল্পে চুলকানি, খুশকির সমস্যা দূর করে। এমনকী চুলের ক্ষয়কে প্রতিরোধ করে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তাজা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এই পেস্ট আপনি সরাসরি চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন।
সিরাম ব্যবহার করুন- আপনি যদি ঘন ঘন চুলে হেয়ার ড্রায়ার, স্টেটনার বা অন্য কোনও হিটিং টুল ব্যবহার করেন, তাহলে সিরাম মাখুন। এমন সিরাম বেছে নিন যা আপনার চুলকে হিটের থেকে সুরক্ষা প্রদান করবে। এতে চুলের আর্দ্রভাব বজায় থাকবে এবং ফ্রিজিনেস কমবে।
যত্নের সঙ্গে চুল আঁচড়ান- নামীদামি শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ব্যবহার করলেই যে চুল ভাল থাকবে, এমন কোনও নিয়ম নেই। কিন্তু প্রতিদিন ভাল করে চুল না আঁচড়ালে সমস্যা বাড়তে পারে। চুল পড়া বা ভেঙে যাওয়া, উড়ো চুলের সমস্যা বাড়বে। চুলের যত্নে প্লাস্টিকের চিরুনির বদলে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন। ভাল করে চুল আঁচড়ালে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয় এবং চুলের মজবুত হয়।
বালিশের কভার বদলান- আপনার চুলের পিছনে বালিশের কভারও দায়ী হতে পারে। তাই নিয়মিত এটি বদলানো দরকার। তাছাড়া সিল্কের কাপড়ের তৈরি বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এটি চুল পড়া কমাতে এবং ফ্রিজিনেস দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি চুলের আর্দ্রভাব বজায় রাখে এবং চুলকে করে তোলে নরম, শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর।