
বয়স ১৫ হোক বা ২৫—নাছোড়বান্দা ব্রণ রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। ব্রণ শুধু যে সৌন্দর্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তা নয়। মুখে বা পিঠে ব্রণ হলে তা অত্যন্ত ব্যথাও হয়। বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ব্রণ হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের ব্রণ কমে যায়। আবার ২১ বছরের পর ব্রণ হওয়ার পিছনে নানা কারণ দায়ী থাকতে পারে। থাইরয়েড, পিসিওডি-সহ লিভারের সমস্যার কারণে পিসিওডি দেখা দিতে পারে। কিন্তু ব্রণর সমস্যায় ঘন ঘন স্কিন কেয়ার রুটিন পরিবর্তন করলে চলবে না। ব্রণর চিকিৎসায় আপনি কোন ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ ব্যবহার করছেন, তার থেকেও জরুরি তাতে কী ধরনের উপাদান রয়েছে। ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্য যখন কোনও প্রসাধনী কিনবেন, দেখে নিন এই ৪ উপাদান তাতে রয়েছে কি না।
বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড: BHA বা বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড এক ধরনের এক্সফোলিয়েটর যা আলট্রাভায়োলেট রশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতকে পুনরুদ্ধার করে। পাশাপাশি এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ব্রণর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই উপাদান ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় এবং সিবাম উৎপাদন কমিয়ে দেয়। ব্রণর পাশাপাশি ব্ল্যাকহেডস বা রোমকূপ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
স্যালিসিলিক অ্যাসিড: ব্রণ দূর করতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড দারুণ উপকারী। এই ত্বকের উপর থেকে মরা কোষ পরিষ্কার করে দেয়। এটি অতিরিক্ত তেল নিঃসরণকেও নিয়ন্ত্রণ করে। বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড ও স্যালিসিলিক অ্যাসিড একসঙ্গে ব্যবহার করলে ব্রণর সমস্যা কমতে বাধ্য।
বেনজয়েল পারক্সাইড: ব্রণর চিকিৎসায় বেনজয়েল পারক্সাইড খুব সাধারণ টপিক্যাল মেডিকেশন। এই উপাদানের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ব্রণর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। তবে, এই উপাদানটি আপনার ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে দিতে পারে।
রেটিনল: অনেকেই মনে করেন, রেটিনল অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করে। আসলে, রেটিনল ত্বকের উপর ভিটামিন এ হিসেবে কাজ করে যা ত্বককে বার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি এটি রোমকূপ পরিষ্কার করে ব্রণর সমস্যা কমায়। প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি রেটিনল যুক্ত প্রসাধনী দিয়ে ব্রণর সমস্যা কমাতে পারেন।