ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য নানারকম উপায় আমরা প্রতিদিনই খুঁজে থাকি। মুখের ত্বক ও চুলের পরিচর্চা করতে গিয়ে নানা পণ্য় ব্য়বহার করে থাকেন অনেকে। তাতে ভালোর থেকে ক্ষতিটাই বেশি হয়।পণ্যে অবস্থিত রাসায়নিক পদার্থগুলি ত্বকের মধ্যে ক্ষনিকের জন্য কাজ করে, দীর্ঘস্থায়ী কোনও ফলাফল মেলে না। তবে স্কিনকেয়ার রুটিনের ১০টি ধাপ মেনে চললে মুখের লাবণ্য ও সৌন্দর্য বজায় থাকে।
ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদ অনুসারে, ত্বকের ধরণ কেমন, সেই বিচারে সৌন্দর্য বজায় রাখার টোটকা বা উপায় বের করা সহজ। কী ব্যবহার করবেন, কেমন ভাবে ব্যবহার করবেন তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাত (শুষ্ক ত্বক), পিট্টা ( স্পর্শেই উষ্ণ, তৈলাক্ত), কাফা ( ঘন ও তৈলাক্ত) ত্বকের ধরণ কেমন তা শনাক্ত করে কী উপায় রয়েছে তা জানা সহজ হয়ে যায়। উজ্জ্বল ত্বক ও স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য এখানে ১০টি সহজ উপায় দেওয়া রইল…
– তেল মাসাজ না করলে ত্বক বা চুলের কোনও কাজে লাগে না। আপনার ত্বকের ধরণ অনুসারে, আপনি তেল মাসাজ করতে পারেন। কেউ যদি করে দিতে পারেন, তার চেয়ে ভাল কিছু হয় না।
– সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্য দিনে অন্তত একটি ফল খান। কোন পরিপূরক আপনাকে ভিটামিন এবং ফাইবার দিতে পারে না যা ফল আপনাকে দিতে পারে।
-আপনার ত্বকের জন্য দুধ ব্যবহার করুন। ত্বক ফুলে যাওয়া হোক বা কোনও সমস্যা তৈরি হোক, কিছুদিন দুধ ব্যবহার করুন। যদি আপনি উজ্জ্বল ত্বকের সন্ধান করেন তবে কয়েকটি জাফরানের টুকরো যুক্ত করুন। রাতে শোওয়ার আদে বযবহার করে পরের দিন উঠে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
– আপনার ত্বকের সেলুলাইটের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শুষ্ক ব্রিসল ব্রাশ ব্যবহার করুন এবং আর এটাই ত্বককে টোন করার সর্বোত্তম উপায়।
– রাসায়নিকের পরিবর্তে চিনি ব্যবহার করুন। একটি বাটিতে চিনি নিন এবং আপনার ত্বকের ধরণ অনুসারে গ্লিসারিন, দুধ বা লেবুর রস দিয়ে পাতলা একটি প্যাক তৈরি করুন।
– ট্যান দূর করতে এবং মসৃণ কোমল ত্বকের টোন পেতে বিটরুটের রস ব্যবহার করুন।যদি আপনি বিটরুটের রস তৈরি করতে খুব অলস লাগে তবে একটি বিটরুট কেটে নিন মুখের ত্বকে ঘষুন।
– প্রচুর পরিমাণে জল খান। ব্রণ, শুষ্কতা, ফ্লেক্স, প্রদাহ সবই হাইড্রেশন দিয়ে চিকিৎসা করা যায়।
– তোয়ালে সবসময় পুরানো টি-শার্ট বা নরম সুতির কাপড় যেন হয়, তা নজরে রাখুন।
– নিস্তেজ ত্বক, শুষ্ক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক বা শুধু উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সপ্তাহে একবার কস্তুরি মঞ্জল ব্যবহার করুন।
– ত্বকের যত্ন এবং চুলের যত্নে দই খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি স্বাদ পছন্দ না করেন, তাহলে স্কিনকেয়ার এবং চুলের যত্নের রুটিনে যোগ করতে হবে।