
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেরও তার ছাপ পড়ে। জেল্লা হারানোর পাশাপাশি চামড়া আলগা হয়ে যায়। বলিরেখা দেখা দেয়। এসবের হাত থেকে বাঁচতে বেশিরভাগ মানুষ অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ারের সাহায্য নেন। আজকাল এই অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার পণ্যের মধ্যে নাম কেড়েছে ‘রেটিনল’। নাইটক্রিম থেকে শুরু করে ফেস সিরামে ব্যবহার করা হচ্ছে রেটিনল। কিন্তু ত্বকের বার্ধক্য ঠেকাতে এবং ত্বকের ক্ষয়কে প্রতিরোধ করতে এই রাসায়নিক উপাদান কতটা কার্যকর, জানেন?
আজকাল চিকিৎসকেরাও রেটিনল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যেহেতু নামের পাশে অ্যাসিড রয়েছে, তাই অনেকে রেটিনল ব্যবহার করলে সংকোচ বোধও করেন। কিন্তু সব অ্যাসিড খারাপ নয়। ত্বকের যত্নে রেটিনল এখন মানুষের প্রথম পছন্দ। এই রাসায়নিক পণ্যের মূল উপাদান হল ভিটামিন এ। ভিটামিন এ ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রেটিনল ব্যবহারে কী-কী উপকার মেলে, জেনে নিন।
১) সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের উপর জোরাল হল সূক্ষ্মরেখা ও বলিরেখা। তার সঙ্গে বাড়ে শুষ্কভাব। রেটিনল ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে সাহায্য করে। ত্বকের উপর এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে এই পণ্যটি। এটি কোষ গঠনে সাহায্য করে।
২) রেটিনল মূলত অ্যান্টি-এজিং মলিকিউল। এটি ত্বকের টেক্সচারকে উন্নত করতে, সূক্ষ্মরেখা, দাগছোপ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি সূর্যালোকের কারণে তৈরি হওয়া ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করে। কোলাজেন উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
৩) এক্সফোলিয়েটর বৈশিষ্ট্যের কারণে রেটিনল ব্রণ-প্রবণ ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও উপকারী। রেটিনল ব্যবহার করলে আপনি ব্রেকআউটের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন। পাশাপাশি এটি মুখের উন্মুক্ত রোমকূপে জমে থাকা সমস্ত ময়লা, মৃত কোষ দূর করে। এতে ওপেন পোরসের সমস্যাও দূর হয়।
৪) রেটিনল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কয়েকটি সতর্ক অবলম্বন করা জরুরি। রেটিনল যদি প্রথমবার ব্যবহার করেন, তাহলে (০.০২৫%) কম পরিমাণে ব্যবহার করুন। সংবেদনশীল ত্বকে রেটিনল ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫) সাধারণত অ্যান্টি-এজিং পণ্যে রেটিনল অ্যাসিড উপস্থিত থাকে। এছাড়া আপনি সিরাম হিসেবেও এটি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু শুষ্ক ত্বক হলে, রেটিনল ব্যবহারের পরে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। সানস্ক্রিন ও নাইটক্রিমের সঙ্গে রেটিনল ব্যবহার করুন। কিন্তু কখনওই ভিটামিন সি সিরামের সঙ্গে রেটিনল ব্যবহার করবেন না।