Ayurvedic Skin Care: নামীদামি প্রসাধনী মেখেও মুখভর্তি ব্রণ? আয়ুর্বেদের কথা শুনে চলুন

Skin Care Routine: ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ডায়েটের খেয়াল রাখা দরকার। সব সময় ফেস সিরাম, ময়েশ্চারাইজার, ফেসপ্যাক ইত্যাদি ব্যবহার করে মনের মতো ত্বক পাওয়া যায় না। লাইফস্টাইলে বদলে আনলে আপনি নিখুঁত ত্বক পাবেন।

Ayurvedic Skin Care: নামীদামি প্রসাধনী মেখেও মুখভর্তি ব্রণ? আয়ুর্বেদের কথা শুনে চলুন

| Edited By: megha

Aug 07, 2023 | 12:33 PM

রোজ নামীদামি প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার করলেই, যে আপনার ত্বক ভাল থাকবে এমন নয়। ফেস সিরাম, ময়েশ্চারাইজার, ফেসপ্যাক ইত্যাদি যে আপনার ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে দেবে এমন হয় না। বরং, আপনি যত বেশি রাসায়নিক যুক্ত পণ্য ব্যবহার করবেন, ত্বকের অবস্থা বেহাল হবে। তাই সবসময় ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক পণ্যের উপর জোর দেওয়া হয়। তবে, আয়ুর্বেদিকে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক পণ্যের উপর ভরসা রাখা হয় না। আয়ুর্বেদে মেনে চলতে হয় কিছু নিয়ম। আয়ুর্বেদে ন্যূনতম স্কিন কেয়ারের মাধ্যমেই ফেরানো যায় ত্বকের হাল।

ডায়েটের উপর জোর দিন: ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ডায়েটের খেয়াল রাখা দরকার। তেল, মশলা যুক্ত খাবার যত বেশি খাবেন, আপনার ত্বকের সমস্যা বাড়বে। এমনকী মদ্যপান ও ধূমপান আপনার ত্বককে সময়ের আগে বুড়িয়ে দিতে পারে। তাই রোজের ডায়েটে রাখুন তাজা ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। তার সঙ্গে রাখুন ভেষজ চা। ভেষজ চা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের সমস্যাকে দূরে রাখে।

শরীরচর্চা করুন: ত্বকের সমস্যাকে দূরে রাখতে গেলে রোজ শরীরচর্চা করতে হবে। যোগব্যায়াম, জগিং, হাঁটার মতো শরীরচর্চা করতে হবে। ঘাম হলে শরীরে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। এতে ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি পায়।

মুখে তেল মালিশ করুন: ত্বকে উপর তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এতে ত্বকে ফুসকুড়ি, ব্রণর সমস্যা কমে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

ঘুম দরকার: দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। পাশাপাশি এই উপায়ে আপনি ত্বককে ভাল রাখতে পারবেন। বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা কমবে। চোখের নিচে কালি পড়বে না।

প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নিন: নারকেল তেল, হলুদ, নিমপাতা, টক দই, বেসন, কেশর, গোলাপ জলের মতো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্ন নিন। এসব উপাদান ত্বককে গভীর থেকে উপকারিতা প্রদান করে। তাছাড়া প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের উপর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফেলে না। এতে আপনি পেয়ে যাবেন জেল্লাদার ত্বক।

সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করুন: ত্বক পরিষ্কার করা জরুরি। রোজ নিয়ম করে দু’বার মুখ পরিষ্কার করুন। হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করুন। তবে, অবশ্যই আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার বেছে নিন। মুখ পরিষ্কার করার পর ময়েশ্চারাইজার মেখে নেবেন। এই রুটিন মানলেই পাবেন নিখুঁত ত্বক।