এক উপাদান ব্যবহারেই ত্বক ও চুলের (Skin and Hair Care) বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে। এমনকি এই উপাদান স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী (Health Benefits)। সবজি হিসেবেই ব্যবহৃত হয় বিটরুট (Beetroot)। বিটরুটে থাকে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। ত্বক ও চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে এই উপাদান। কম সময়ে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- ব্রণ, কালচে দাগ, পোড়া দাগসহ বিভিন্ন সমস্যা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চান, তাহলে ব্যবহার করুন বিটরুট।
ত্বকের বয়স কমাতে নিয়মিত ব্যবহার করুন বিটরুট। এজন্য একটি বিট ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। এবার তা তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে ব্যবহার করে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
বিটরুটে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করা কোষের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে যে কোনও ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না। ত্বকের কালচে দাগও দূর করে বিটরুট।
ত্বকের আর্দ্রতা ফেরায় বিটরুটে থাকা পুষ্টিগুণ। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে জেল্লা কমে ও চর্মরোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে বিটরুটের জুস রাখুন। নিয়মিত বিটের রস পান করলে ত্বক ও শরীরে জলের ঘাটতি দূর হবে ও পুষ্টি পাওয়া যাবে।
চোখের নীচের কালো দাগ দূর করতে কাজে লাগাতে পারেন বিটরুট। এজন্য বিটরুটের রস তুলোয় করে চুখের নিচে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ১০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে বিটরুটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিটরুটের রস অল্প করে ঠোঁটে লাগিয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
সানবার্নের সমস্যায় অনেকেরই ত্বক হয়ে পড়ে কালচে। এক্ষেত্রে যদি বিটরুটকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে বেশ উপকার পাবেন।
যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারাই বেশি ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে ত্বকের যত্নে যদি বিটরুটকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে দ্রুত সারাতে পারবেন ব্রণ। বিটরুটে থাকা অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণুদের মেরে ফেলে।
চুলের যত্নে বিটরুট:
একদিন পরপর যদি বিটরুটের রস দিয়ে চুল ধোয়া যায়, তাহলে স্ক্যাল্পের ভেতরে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে হেয়ারফলের মাত্রা তো কমেই, একই সঙ্গে চুলের জেল্লা বাড়ে চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে চুল কালার করতেও ব্যবহার করতে পারেন বিটরুট।
তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।