
চুলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। চুল উঠে যাচ্ছে, চুল পড়ে যাচ্ছে, পাতলা হয়ে যাচ্ছে, টাক পড়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ তো সকলেরই। সেই সঙ্গে শীত পড়লেই উড়ে এসে জুড়ে বসে খুশকির সমস্যা। আর শীত চলে যাওয়ার পরও মাথায় থেকে যায় সেই খুশকি। যাদের স্ক্যাল্প তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রে খুশকির সমস্যা আরও অনেক বেশি। মাথায় দিনের পর দিন ময়লা বসে থাকলে সেখান থেকে মাথা চুলকোনো, চুল পড়ে যাওয়া এসব সমস্যা তো হয়ই। আর খুশকি হলে চুলও বেশি পড়ে। যে কারণে এই সমস্যার আগে সমাধান দরকার। বিজ্ঞাপনের দৌলতে এখন পাড়ার প্রায় সব প্রসাধনী দোকানেই থরে থরে সাজানো থাকে কৌটো, ডিব্বা। প্রলোভনে পড়ে অনেকে তা টানা ব্যবহারও করতে থাকেন। কিন্তু সেই সব প্রোডাক্ট চুলের জন্য আদৌ কতটা কার্যকরী এ বিষয়ে কিন্তু মতভেদ রয়েছে। চুলে বেশি পরিমাণে রাসায়মনিক ব্যবহার করলে, হেয়ার ট্রিটমেন্ট করালেই যে চুল ভাল হয়ে যায় এমন নয়। এতে কিন্তু চুল আরও বেশি ঝরতে থাকে। এর পরিবর্তে ঘরে থাকা সাধারণ উপকরণ দিয়েই যত্ন নিন চুলের। এতে সমস্যাও কমবে আর চুল লম্বা হবে।
খুশকির সমস্যা হলে বেশিরভাগই লেবুর রস, ভিনিগার এসব ব্যবহারের পরামর্শ দেন। লেবুতে খুশকি দূর হয় ঠিকই তবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান কিন্তু হয় না। আর বেশি লেবু ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ্ম হয়ে যায়। রোজ রোজ অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভাল। সরষের তেলের মধ্যে রয়েছে ভাল ফ্যাটি অ্যাসিড। যা চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করে। আর ডিপ কন্ডিশনিং করলে খুশকির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও চুলে যথাযথ পুষ্টিও যোগায় এই সরষের তেল। সেই সঙ্গে এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণটিও কিন্তু বেশ কার্যকরী। ফলে চুল থেকে খুশকি সহজেই দূর হয়ে যায়।
সরষের তেলের মধ্যে থাকে একাধিক ভিটামিনও। যেমন ভিটামিন কে, ডি,এ, ই। যে কারণে চুলের রুক্ষ্মভাব দূরে থাকে। সেই সঙ্গে চুল তার প্রাকৃতিক রং বজায় রাখতেও সক্ষম হয়। চুলের গোড়া মজবুত করতেও ভূমিকা রয়েছে সরষের তেলের। বাচ্চাদের নিয়মিত সরষের তেল মাখালে চুলের বৃদ্ধি ভাল হয়। সেই সঙ্গে বজায় থাকে চুলের জেল্লাও। চুলের বৃদ্ধিও ভাল হয়।
কীভাবে বানাবেন এই বিশেষ তেল
সরষের তেলের মধ্যে কারিপাতা আর হেনা পাউডার ৩ চামচ দিয়ে খুব ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার তা ঠান্ডা হলে কাঁচের শিশিতে ভরে রাখুন। এই তেল মাথায় ভাল করে লাগিয়ে নিয়ে শ্যাম্পু করলেই কাজ হবে।