শীতকাল এলেই ত্বক ও চুলের সমস্যায় ভুগতে থাকে বাঙালির একাংশ। আর্দ্রতার অভাবে আর মাত্রাতিরিক্ত দূষণের কারণে ত্বক ও চুলের বেহাল দশা হয়। ময়েশ্চার হারিয়ে যায় চুল ও ত্বক থেকে। তার সঙ্গে ত্বকে জুড়ে এসে বসে শুষ্কভাব, চুলকানি। আর চুল হয়ে ওঠে আরও ফ্রিজি এবং স্ক্যাল্প ভরে যায় খুশকিতে। বঙ্গে শীত না এলেও ত্বক ও চুলের এসব সমস্যা লেগেই রয়েছে। আপনিও কি ত্বক ও চুলের সমস্যায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন? ত্বক ও চুলের পরিচর্যা সবসময় একে অপরের থেকে আলাদা হয়। কিন্তু একটি উপাদান এমনও রয়েছে, যা এই শুষ্ক আবহাওয়ার আপনার ত্বক ও চুলের দুটোরই খেয়াল রাখবে। তা হল ক্যাস্টর অয়েল।
ক্যাস্টর অয়েল এক ধরনের ফল থেকে পাওয়া যায়। এই তেলের মধ্যে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ফ্ল্যাভনয়েড, ফ্যাটোস্টেরল, ফেনোলিক ও অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এই তেল আপনার ত্বক ও চুলের উভয়ের জন্যই ভাল। এমনকি আপনার ভ্রু ও চোখের পল্লব ঘন করতেও সাহায্য করে ক্যাস্টর অয়েল। শুধু সমস্যা হল, ক্যাস্টর অয়েল অন্যান্য প্রাকৃতিক তেলের তুলনায় ভারী। তাই এটি সরাসরি ত্বক বা চুলে মাখলে চিটচিট করতে থাকে। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাখলে সেরা ফল পাওয়া যায়।
চুলের যত্নে ক্যাস্টর অয়েল:
চুল পড়া, খুশকি ও অকালপক্কতা—এসব সমস্যা এক নিমেষে রুখে দিতে পারে ক্যাস্টর অয়েল। শীতকালে চুলে আর্দ্রতা অভাবে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ক্যাস্টর অয়েল চুলের ময়েশ্চারকে বজায় রাখে। সপ্তাহে ২-৩ বার ক্যাস্টর অয়েল মাখলেই চুলের সমস্যাকে সমাধান করা যায়। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে চুলে মাখুন। শ্যাম্পু করার ৩০ মিনিট আগে এই কাজটা সারতে হবে। কিংবা আগের দিন রাতেও এভাবে মাথায় তেল মাখতে পারেন। আর পরদিন শ্যাম্পু করে নিন। এতে দ্রুত ফল পাবেন।
ত্বকের যত্নে ক্যাস্টর অয়েল:
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা খুব সাধারণ। এই সাধারণ সমস্যাকে প্রতিরোধ না করলে আপনার ত্বকের জন্য তা মারাত্মক হতে পারে। তাই এই মরশুমে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি দিনে অন্তত ১ বার ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন। এই তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং নমনীয়তা বাড়াতে সাহায্য করে। ২-৩ ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল নিয়ে সরাসরি ত্বকের উপর মালিশ করুন। এই তেল আপনার যে কোনও হাইড্রেটিং ক্রিমকে দশ গোল দেবে।