
ঠোঁট ফাটলেই একমাত্র মনে করে ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার কথা। তাছাড়া লিপস্টিক পরা আর কোনও কারণে ঠোঁটের কথা মনেও পড়ে না। কিন্তু ঠোঁটের যত্ন না নিলে এটা কালো হয়ে যায়, ঠোঁট ফাটতে থাকে। আর ঠোঁট একবার কালো হতে শুরু করলে, তখন লিপস্টিক পরেও ঠোঁট রং ফেরানো যাবে না। তাই প্রথম থেকেই ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। ঠোঁটের যত্নের প্রথম ধাপই হল এক্সফোলিয়েশন।
দূষণ, সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি, ডিহাইড্রেশন, ধূমপান, অতিরিক্ত পরিমাণে লিপস্টিকের ব্যবহারে ঠোঁট কালচে হতে থাকে। পাশাপাশি ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এক্সফোলিয়েশন জরুরি। ঠোঁট নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এছাড়া ঠোঁট হয়ে ওঠে নরম ও কোমল। কমে যায় ঠোঁটের নানা সমস্যা। ক্ষয় এড়াতে এক্সফোলিয়েট করলেও এর সঠিক নিয়ম কি জানা আছে?
ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করার সঠিক নিয়ম
এক্সফোলিয়েশন করতে আপনি DIY স্ক্রাবের সাহায্য নিন। স্ক্রাব তৈরির জন্য ব্যবহার করুন চিনি, মধু, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের মতো উপকরণ। এই ধরনের উপকরণগুলো ঠোঁটের খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। বরং, এসব উপাদানের ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট ঠোঁটকে নরম করে তোলে। আপনি যদি DIY স্ক্রাব ব্যবহার না করেন, যদি কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করেন, তাহলে আপনাকে সঠিক পণ্য বাছতে হবে। যে এক্সফোলিয়েটরে AHA-এর পরিমাণ ৫%-এর কম, সেই পণ্য বেছে নিন।
ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করার জন্য অল্প পরিমাণ লিপ স্ক্রাব নিন। এক চিমটে লিপ স্ক্রাব নিয়ে সার্কুলার মোশনে ঠোঁটের উপর ঘষতে থাকুন। খুব বেশি চাপ দেবেন না। ঠোঁট স্ক্রাব করা হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। এরপর ভিজে তোয়ালে দিয়ে ঠোঁট মুছে নিন। সপ্তাহে এক বা দু’বার এই উপায়ে ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করতে পারেন। এতে মরা চামড়া দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি আপনি ফিরে পাবেন ঠোঁটের গোলাপি আভা।
এক্সফোলিয়েশন ছাড়া আর যে উপায়ে ঠোঁটের যত্ন নেবেন
ঠোঁটের খেয়াল রাখতে গেলে কী-কী পণ্য ব্যবহার করছেন, তার উপর নজর দিতে হবে। রোদে বেরোনোর আগে যেমন মুখ, হাতে-পায়ে সানস্ক্রিন লাগান, একইভাবে ঠোঁটেও লাগাবেন। বাজারে ঠোঁটের জন্য সানস্ক্রিন পাওয়া যায়, সেটা বেছে নেবেন। এছাড়া ঠোঁটে লিপ বাম লাগাতে ভুলবেন না। লিপ বাম ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।