
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ক্লান্তি এই সব কিছুই কোথাও গিয়ে আমাদের মনে এবং শরীরে প্রভাব ফেলে। আর এই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে চুলে তেল মালিশ। সারাদিনের কাজের চাপের পর মাথায় তেল মালিশ করলে আরাম মেলে। যদিও চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ, চুলের বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশি করে চুলে তেল মালিশ করা হয়। কিন্তু চুলে তেল মালিশ ঠিক কতটা কার্যকর, সেটা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে চুলে তেল মালিশ করা হয়ে থাকে। যদিও এখন বাজারে ‘হট অয়েল ম্যাসাজ’ বেশ জনপ্রিয়। এখন চুলে তেল মালিশ ‘হট অয়েল ম্যাসাজ’ ট্রিটমেন্টে পরিণত হয়েছে।
চুলের ধরন যেমনই হোক ‘হট অয়েল ম্যাসাজ’ সবার জন্য উপকারী। চুলে তেল মালিশ আপনাকে নানাভাবে উপকৃত করতে পারে। চুলে নিয়মিত তেল মালিশ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এতে চুলের বৃদ্ধি ঘটে। পাশাপাশি এই উপায়ে আপনি চুলের হারানো আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। চুল তার আর্দ্রতা হারালে নিস্তেজ দেখায়। এক্ষেত্রে ফ্রিজি হেয়ারের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এই সময় চুলে তেল মালিশ করলে চুল মসৃণ ও কোমল হয়।
চুলে তেল মালিশের সময়ও কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যেমন আপনি খুব দ্রুত বা চাপ দিয়ে তেল মালিশ করতে পারবেন না। স্ক্যাল্পে অতিরিক্ত চাপ দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এতে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্ক্যাল্পে হালকা চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে তেল মালিশ করুন। এতে চুলের কোষগুলো শক্তিশালী হয়। এতে চুলের ফলিকলে পুষ্টির সঞ্চার ঘটে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটে। এতে চুল ঘন দেখায়।
‘হট অয়েল ম্যাসাজ’-এর অর্থ হল তেল গরম অবস্থায় চুল ও স্ক্যাল্পে মালিশ করা। কিন্তু তেল খুব বেশি গরম করবেন না। এতে স্ক্যাল্পের ক্ষতি হতে পারে। তেল হালকা গরম করে নিয়ে স্ক্যাল্প ও চুলে মালিশ করুন। এতে চুল ও স্ক্যাল্পে পুষ্টির জোগান মেলে।
স্ক্যাল্পকে হাইড্রেটেড রাখার ক্ষেত্রে ‘হট অয়েল ম্যাসাজ’ খুবই কার্যকর। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত স্ক্যাল্পে তেল মালিশ করলে এটি ঘন চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। পাশাপাশি গরম তেল দিয়ে স্ক্যাল্প মালিশ করলে চুলের কিউটিকলগুলো সিল হয়ে যায় যা চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। আপনি যদিও চুলের যত্ন নিতে চান তাহলে নিয়মিত চুলে তেল মালিশ করুন।