
বেশিরভাগ মানুষই কলা খেতে পছন্দ করেন। আর এই কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে জানেন কি, শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বকের জন্য়ও সমান উপকারী কলা। ত্বকের যত্নে কলা ব্যবহার করলে মিলবে অনেক ফল। ত্বকের হাজার সমস্যা মেটাতে একাই একশো কলা। কিন্তু জানতে হবে সঠিক ব্যবহার। জানুন ত্বকের যত্নে কীভাবে কাজে লাগাবেন কলা…
পটাসিয়াম সমৃদ্ধ কলা ভিটামিন এবং জিঙ্কের একটি চমৎকার উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। বাজার চলতি ফেস মাস্ক না ব্য়বহার করে, কলা দিয়েই তৈরি করে নিন ফেস মাস্ক। এই মাস্ক ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে সাহায্য় করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে তৈরি করবেন এই ফেস মাস্ক…
কলা এবং নিম ফেস মাস্ক:
কলা এবং নিম ফেসপ্যাক তৈরি করতে, একটি অর্ধেক কলা ম্যাশ করে নিন। তারপর এতে ১ চা চামচ নিমের গুঁড়ো বা পেস্ট দিন। এছাড়াও ১ চা চামচ হলুদও মেশান। সবকিছু মিশিয়ে নিয়ে এতটা পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এটি মুখে ও লাগান। ২০ মিনিট মতো রেখে পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণ ও ত্বকের দাগ দূর হবে।
কলা শসা এবং পেঁপের ফেস মাস্ক:,
তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পেতে কলা, শসা এবং পেঁপের ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটি তৈরি করতে, অর্ধেক কলা ম্যাশ করুন। তারপর সেই কলার সঙ্গে শসা এবং পেঁপে যোগ করুন। সবকিছু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্টটি মুখে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও, শসা ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
কলা এবং দই ফেস মাস্ক:
ত্বকের বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এই মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। একটি কলা নিয়ে তাকে চটকে নিন। এবার তাতে কয়েক চামচ টকদই মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে মুখে প্রয়োগ করুন। এই মাস্কটি ত্বকের ফ্রি র্যাডিকেল ও ত্বকের খোলা ছিদ্র কমতে সাহায্য করে।