
শুধু আঙ্গুর নয়, আঙ্গুরের বীজও খুব উপকারী। এই বীজের তেল চুলের জন্য খুবই ভালো। আঙ্গুরের বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। চুল দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে এই বীজের তেল। এছাড়া চুল সম্পর্কিত অনেক সমস্যা থেকেও রক্ষা করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক চুলের জন্য কতটা উপকারী আঙুর বীজের তেল…
শুষ্কতা কমায়-
এই তেল শুষ্ক ও প্রাণহীন চুলের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। এছাড়া চুল নরম করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই তেল ব্যবহারে চুলের আরও কী কী উপকারিতা পাওয়া যায়।
চুলের হাল ফেরায়-
আঙুর বীজের তেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি ভিটামিন ই রয়েছে। এই তেল চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে। এছাড়া এই তেল চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এই তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুলের শুষ্কতা দূর হয়। এই তেল চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং কন্ডিশন করে। এছাড়া চুলের গোড়া শক্ত করতেও সাহায্য করে।
মজবুত চুলের জন্য-
এই তেলে লিনোলিক অ্যাসিড রয়েছে। যা একটি অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড। চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে ও চুল মজবুত করতে সাহায্য করে। এই তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ হয়। এছাড়া চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে চুল ঘন ও মজবুত হয়।
চুলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে-
আঙ্গুর বীজ তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ধুলাবালি ও দূষণ থেকে চুলকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকেও চুলকে রক্ষা করে এই তেল।
খুশকি কমায়-
এই তেলে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। । যা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। শুধু তাই-ই নয়, স্ক্যাল্পের জ্বালাপোড়াও দূর করতেও সাহায্য করে। অনেকেই স্ক্যাল্পে চুলকানির সমস্যা থাকে, তাঁদের জন্য ভীষণ উপকারী এই তেল।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
শ্যাম্পু করার আধা ঘণ্টা আগে এই তেল চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। ফলাফল নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।