স্বাস্থ্যের জন্য শুকনো ফলের গুরুত্ব আমরা সবাই জানি, কিন্তু আপনি কি জানেন যে কিশমিশ আমাদের ত্বকের জন্য ওষুধের চেয়ে কম নয়? হ্যাঁ, এতে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যার সাহায্যে ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের জন্য ঠিক কতটা উপকারী?
কিশমিশে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাসিয়াম, কপার সহ এমন অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বককে সুস্থ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার জেনে নিন কীভাবে ব্য়বহার করলে কাজ হবে…
এভাবে কিশমিশের জল তৈরি করুন:
এক গ্লাস জল নিয়ে তাতে আধা কাপ কিশমিশ দিন। এবার তা সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিন। সকালে এই জল ফিল্টার করে ব্যবহার করুন। এই জল খালি পেটে পান করলে হজমশক্তিও উন্নত হয়।
ত্বকের যত্নে কিশমিশ জলের ব্যবহার:
কিশমিশ জলের ফেসপ্যাক:
একটি পাত্রে নিয়ে তাতে এক চামচ চালের গুঁড়া দিন। এবার এতে এক চামচ মধু মিশিয়ে কিশমিশের জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার পরিষ্কার মুখে এটি লাগান। ১৫ মিনিট পর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে শুকিয়ে মুছে ফেলুন।
কিশমিশের জলের মুখের টোনার:
একটি স্প্রে বোতলে নিন এবং অর্ধেক কিশমিশ জল দিয়ে পূর্ণ করুন। এবার এতে গোলাপজল দিন এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিন। রাতে ঘুমানোর আগে মুখে স্প্রে করে ঘুমিয়ে পড়ুন। আধ ঘণ্টা পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
অন্তত ২ সপ্তাহ কিশমিশের জল ব্যবহার করে দেখুন। ফলাফল নিজের চোখেই ধরা পড়বে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। এছাড়া কমে শুষ্কতা ও কালো দাগছোপের সমস্যাও। শুধু ত্বকের হারানো জেল্লা ফেরাতেও সাহায্য করে এই জল। কিশমিশের জল টোনার হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বকের পিএইচের মাত্রাও বজায় থাকে।