শীত চলে গেলেও চুলের অবস্থা যে খুব ভাল, তা নয়। চুলে চিরুনি দিলেই টের পাওয়া যায় রুক্ষতা। শীতকাল চুলের যে ক্ষতি করে দিয়ে যায়, সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। তবে, এমন নয় যে, ঝলমলে মসৃণ চুল ফিরে পাওয়া যায় না। এক সময় মা-ঠাকুমারা চুলে নিয়ম করে নারকেল তেল লাগাতেন। এই চিরপরিচিত নারকেল তেলই আপনার চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারে। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে রোজ নিয়ম করে চুলে তেল মালিশ করা যায় না। তবে, সপ্তাহে একদিন যদি নিজের জন্য সময় বের করেন, তাহলে নারকেল তেলের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।
নারকেল তেল চুল পড়া কমায়, খুশকির সমস্যা দূর করে, চুলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, চুলের রুক্ষ ও শুষ্কভাবকে দূর করে। রোজ নিয়ম করে নারকেল তেল মাখলে অবশ্যই উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু যাঁদের হাতে সময় থাকে না, তাঁরা নারকেল তেল দিয়ে হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন করে নারকেল তেলের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলেই, আপনি ঝলমলে ও মসৃণ চুল পেয়ে যাবেন।
নারকেল তেল আর মধু
১ চামচ নারকেল তেল ও ১ চামচ মধু নিন। দুটো উপকরণকে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন এবং কম আঁচে রেখে অল্প গরম করে নিন। উপকরণগুলো একে-অপরের সঙ্গে মিশে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। মিশ্রণটা একটু ঠান্ডা করে নিন। এবার চুলটা হালকা ভিজিয়ে নিন। চুলে জল স্প্রে করে নিতে পারেন। এরপর চুলে নারকেল তেল ও মধুর হেয়ার মাস্কটা লাগিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
নারকেল তেল আর ডিম
২ চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ১টা ডিম মিশিয়ে নিন। এবার চুলে জল স্প্রে করে হালকা ভিজিয়ে নিন। এবার চুলে নারকেল তেল আর ডিমের হেয়ার মাস্ক মেখে নিন। ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একবার করে আপনি এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের সময় যা কিছু মাথায় রাখবেন
১) হেয়ার মাস্ক চুলের আগা থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে লাগাবেন। তবেই কাজ হবে।
২) হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের আগে চুল ভিজিয়ে নিন। স্প্রে বোতলে জল নিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন।
৩) হেয়ার মাস্ক লাগানো পর ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।