
হাতে আর মাত্র ১০ দিন। তার মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে শপিং থেকে হেয়ার স্টাইল, সবকিছু। যদিও অনলাইন শপিংয়ের দরুন আজকাল সারাবছর ধরে কেনাকাটি চলতে থাকে। কিন্তু পুজোর আগে চুলে নতুন স্টাইল করা যেন বাধ্যতামূলক। কেউ রং করান, আবার কেউ স্ট্রেটনিং করান। আর কিছু না হলেও ছোট করে চুল ছেঁটে ফেলেন। কিন্তু পুজোর দিনে সেজে-গুজে বেরোনোর পর উড়ো চুলকে বশ করবেন কীভাবে? চুলে স্টাইল করলেও ফ্রিজিনেসের সমস্যা একদিন দূর হয় না। হাতে যেহেতু সময় নেই, তাই শেষে মুহূর্তে সামাল দিতে হবে পরিস্থিতি।
শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার অয়েল কিংবা হেয়ার মাস্ক—এসব প্রসাধনী আপনার সংগ্রহে থাকে। কিন্তু হেয়ার জেল ব্যবহার করেন কি? হেয়ার জেল দিয়ে আপনি যখন-তখন মনের মতো চুলে স্টাইল করতে পারবেন। এমনকী হেয়ার জেল দিয়ে তৎক্ষণা বশ করতে পারবেন উড়ো চুলকে। বাজারচলতি হেয়ার জেলের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু আপনি যদি পুজোর সময় চুলের প্রাকৃতিক জেল্লা পেতে চান, তাহলে বাড়িতে হেয়ার জেল বানিয়ে নিন।
চুলের শুষ্কভাবই ফ্রিজিনেসের কারণ। শরতের রোদে আপনার চুল আর্দ্রতা হারাতে পারে। তার সঙ্গে আপনি যদি খুব বেশি রাসায়নিক পণ্য ও হিটিং টুল ব্যবহার করেন, এগুলো চুল শুষ্ককে করে দেয়। এছাড়া গরম জলে স্নান করলেও চুলের বারোটা বাজে। তাই উড়ো চুল কখনওই আপনার হাতের নাগালে আসে না। এই অবস্থায় কাজে লাগান বাড়িতে তৈরি হেয়ার জেল। হোমমেড হেয়ার জেল পুজোয় তৈরি হওয়ার সময় চুলে লাগিয়ে নিলেই হয়ে যাবে। ঝক্কি পোহানোর কোনও বালাই নেই। পাশাপাশি আপনার বেঁচে যাবে শ’খানেক টাকা।
অ্যালোভেরা হেয়ার জেল
একটি অ্যালোভেরার পাতা নিন। এর থেকে জেল বের করে নিন। এক কাপ জল গরম বসান। জল ফুটে উঠলে এতে ১টা গোটা পাতিলেবুর রস ও অ্যালোভেরা জেল দিয়ে দিন। মিশ্রণটি ঘন হওয়া পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা করে নিন। চুলে স্টাইল করার সময় এই অ্যালোভেরা হেয়ার জেল ব্যবহার করুন।
ফ্ল্যাক্স সিড হেয়ার জেল
এক চামচ ফ্ল্যাক্স সিড সারারাত ধরে এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ফ্ল্যাক্স সিড ভেজানো জলটা ভাল করে ফুটিয়ে নিন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ফোটান, এতে জেল ঘন তৈরি হবে। এরপর বীজ ছেঁকে ফেলে দিন। যে অবশিষ্ট ফ্ল্যাক্স সিড জেল পড়ে থাকবে সেটা ঠান্ডা করে নিন। চুল কোঁকড়ান হোক বা সোজা, স্টাইল করার সময় এই ফ্ল্যাক্স সিড জেল ব্যবহার করুন। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা আপনার চুলকে পুষ্টিও জোগাবে।