
চুলের যত্নে আজও আদ্যিকালের টোটকার উপর ভরসা রাখা হয়। নারকেল তেল থেকে শুরু করে জবা গাছের পাতা, আমলকি ইত্যাদি চুলের দেখভালে দশ গোল দেয়। মা-ঠাকুমাদের টোটকার কাছে ব্যর্থ অনেক প্রসাধনী। কিন্তু সমস্যা হল, চুলের পিছনে সময় ব্যয় করা। সময়ের অভাবে চুলের জন্য পার্লারের দ্বারস্থ হতে হয়। কিন্তু হেঁশেলের মাত্র দু’টো উপকরণ দিয়েও চুলের যত্ন নেওয়া যায়। আর সময় দরকার মাত্র ৩০ মিনিট। তাতেই আপনি পেয়ে যাবেন মনের মতো চুল। পাশাপাশি চুলের একাধিক সমস্যাও কমবে। চুলকে সুন্দর রাখতে ব্যবহার করুন দই ও মেথির হেয়ার মাস্ক।
চুলের যত্নে মেথির উপকারিতা:
মেথি দানার মধ্যে বেশ ভাল পরিমাণে আয়রন ও প্রোটিন রয়েছে। এই দুই প্রয়োজনীয় পুষ্টি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখে মেথি। খুশকি দূর করে এবং অতিরিক্ত তেল নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। চুল পড়া কমাতেও মেথির জুড়ি মেলা ভার। আগেকার দিনে মা-ঠাকুমারা নারকেল তেলের সঙ্গে মেথি দানা ফুটিয়ে চুলে মাখতেন। কিন্তু আজকাল তেল মাখার সময় নেই। আর মেথিদানার বিকল্পও নেই। মেথির হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।
চুলের যত্নে দইয়ের ভূমিকা:
দইয়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। তাই দই মাখলেও খুশকির সমস্যা দূর হয়। পাশাপাশি মেথির মতো দইও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দইয়ের মধ্যে বি ভিটামিন, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। এছাড়া চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে দই। কিন্তু রোজ চুলে দই মাখা সম্ভব নয়। তাই সপ্তাহে একদিন দইয়ের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন।
মেথি ও দইয়ের হেয়ার মাস্ক:
২-৩ চামচ মেথির দানা জলে সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে মেথির দানা নরম হয়ে যাবে। সেটা মিক্সিতে ভাল করে পেস্ট করে নিন। এবার মেথির পেস্টের সঙ্গে ১ কাপ টক দই ভাল করে মিশিয়ে দিন। তৈরি মেথি ও দইয়ের হেয়ার মাস্ক। আপনার চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী মেথি ও দই নিতে পারেন।
হেয়ার মাস্ক লাগানোর আগে চুল ভাল করে আঁচড়ে নিন। চুলের জট ছাড়িয়ে নিন। ৩-৪ ভাগে চুল ভাগ করে নিন। চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মেথি ও দইয়ের হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে নিন। এরপর ৩০-৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শাওয়ার ক্যাপ পরে নিতে পারেন। তারপর সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন আপনি এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।