সুস্থ ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজিংই হল আসল উপায়! সৌন্দর্য নিয়ে অকপট দিয়া মির্জা
পরিস্কার ও মসৃণ ত্বকের পিছনে দিয়া মির্জার আসল রহস্য কী তা অটপটে স্বীকার করেছেন। শুধু সেলেবদের জন্য নয়, আপনার ত্বকের জন্যও ময়েশ্চারাইজিং যে দারুণ কার্যকরী...
শুষ্ক, তৈলাক্ত কিংবা মিশ্র ত্বক, যাই হোক না কেন, ময়েশ্চারাইজিং হল প্রতিদিনের একটি রুটিন। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ত্বককে পরিস্কার রাখা, মসৃণ ও বলিরেখামুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই রোজকার জীবনে যাই ঘটুক না কেন, ত্বকের সুস্থতার জন্য ময়েশ্চারাইজিংকেই প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছেন বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন বিউটি কুইন দিয়া মির্জা। সৌন্দর্যের পিছনে দিয়ার আসল রহস্যের কথা জানতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ময়েশ্চারাইজিংয়ের কারণেই মুখের আর্দ্রতা বজায় থাকে। তার জন্য এখন বাকুচিওল প্ল্যান্ট রেটিনল ফেস অয়েল ব্যবহার করছি। লোটাস অর্গ্যানিকের মাধ্যমে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে ।
পরিস্কার ও মসৃণ ত্বকের পিছনে দিয়া মির্জার আসল রহস্য কী তা অটপটে স্বীকার করেছেন। শুধু সেলেবদের জন্য নয়, আপনার ত্বকের জন্যও ময়েশ্চারাইজিং যে দারুণ কার্যকরী, তা নিম্নলিখিত প্রক্রিয়াগুলি দেখলেই বুঝতে পারবেন…
ত্বকের সমস্যা কমায়- ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সঠিক ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্য়বহার জানতে হবে। কারণ ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই প্রক্রিয়া সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে ক্রিমের পরিবর্তের লোশন ব্যবহার করা ঠিক হবে। এক্সফোলিয়েন্ট উপাদানের সঙ্গে একটি ময়েশ্চারাইজার খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। যদি ত্বক শুষ্ক হয়, তাহলে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। যেখানে তৈলাক্তের পরিমাণ বেশি থাকে।
শুষ্কতা রোধ করে- রুক্ষ আবহাওয়ায় ত্বকের সমস্ত আর্দ্রতা দূর হয়ে যায়। এই সময় একটি ময়েশ্চারাইজারই কাজে আসে। কারণ হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতাকে ফের ফিরিয়ে আনার জন্য ময়েশ্চারাইজিং পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যে কোনও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এটি।
বলিরেখা রোধ করে- অনেকসময় মুখের ত্বকের লাবণ্য হারিয়ে গিয়ে অকাল বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। দৈনন্দিন রুটিনে একবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে বলিরেখার মতো সমস্যা হ্রাস পায়। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়, তাহলে বলিরেখা স্পষ্ট বোঝা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর তাতে আরও বয়স্ক দেখতে লাগে।
দাগ কমায়- ত্বক শুষ্ক হলে দাগ আরও তীব্র হয়। তাই দৈনন্দিন স্কিন রুটিনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা আবশ্যিক। ময়েশ্চারাইজড ত্বক হাইড্রেট ও চকচকে থাকে। মসৃণও দেখায়।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে- শুধু এসপিএফ নয়, ময়েশ্চারাইজিং লোশনও সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। বাড়ির বাইরে, রোদের মধ্যে বের হওয়ার আগে সারা শরীরেই ময়েশ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করুন।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে সঠিক উপায়
প্রধমে ফেসওয়াস বা ক্লিনজার দিয়ে মুখের ত্বক ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এবার তোয়ালে দিয়ে আলতো করে ভেজা ত্বক মুছে ফেলুন। এবার আপনার পছন্দের ময়েশ্চারাইজার আলতো করে মুখের সর্বত্র ব্য়বহার করুন। কিছুক্ষণ মাসাজ করুন। ত্বকের ছিদ্রগুলিতে প্রবেশ করতে সাহায্য করে এটি। সাধারণত ৫-১০ মিনিটের মধ্যে ময়েশ্চারাইজার শোষন করে শুরু করে। তাতে ত্বক পরিস্কার ও অনেকক্ষণ আর্দ্র থাকতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Kriti Kharbanda: কৃতির উজ্জ্বল ও ঝলমলে ত্বকের আসল রহস্য কী? ফাঁস করলেন খোদ নায়িকাই