Biotin Powder: চুলের সঙ্গে নখ-ত্বকও ভাল থাকবে যদি এই বায়োটিন পাউডার রোজ খান

কারও শীতকালে বেশি চুল পড়ে, আবার কারও বর্ষাকালে। তবে, সারাবছরই কমবেশি চুল পড়তে থাকে। কিন্তু দিনে মুঠো-মুঠো চুল উঠতে থাকলে সচেতন হওয়া জরুরি। দেহে পুষ্টির ঘাটতি থাকলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। তখন কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করিয়েও কোনও লাভ হয় না। বরং, নজর দিতে হয় ডায়েটের দিকে। বিশেষত, বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হয়। বায়োটিন হল ভিটামিন বি৭, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।

নতুন চুল গজানো থেকে শুরু করে চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে বায়োটিন। এমনকি এই বায়োটিন আপনার চুলে প্রাকৃতিক ভাবেই কেরাটিন উৎপাদন করে। আপনার দেহে পর্যাপ্ত বায়োটিন থাকলে চুলের আলাদা করে কেরাটিন ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন পড়ে না। বায়োটিনের অভাব চুলের পাশাপাশি ত্বক ও নখেরও ক্ষতি করে। বায়োটিন মূলত দেহে মেটাবলিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শর্করা, চর্বি এবং প্রোটিন ভাঙনের মতো বিভিন্ন এনজাইম্যাটিক বিক্রিয়ায় একটি কো-এনজাইম হিসেবে কাজ করে।

সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ এই বায়োটিন। কিন্তু দেহে বায়োটিনের অভাবে চুল উঠে টাক পড়ে যায়, তাহলে সচেতনতা জরুরি। সাধারণত ব্যালেন্স ডায়েটের মাধ্যমেই আপনি দেহে বায়োটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন এবং চুল, ত্বক ও নখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারবেন। কিন্তু অনেক সময় বোঝা যায় না, যে কোন খাবারে চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজাবে। এক্ষেত্রে বাড়িতে বায়োটিন পাউডার বানিয়ে নিন। যা রোজ খেলে মজবুত চুল গঠনের পাশাপাশি ত্বক ও নখও ভাল থাকবে।

বায়োটিন পাউডার বানাবেন যে উপায়ে-

প্যান গরম করুন। মাঝারি আঁচে ১ কাপ আমন্ড, ১ কাপ আখরোট, ১৫-১৭টি কাজু, ২ চামচ চিনাবাদাম, ১ চামচ তিলের বীজ, ২ চামচ চিয়া সিড, ১/২ কাপ ফ্ল্যাক্স সিড, ১ কাপ কুমড়োর দানা, ১/২ কাপ তরমুজের দানা ভেজে নিন। ৪-৫ মিনিট ভেজে নেওয়া পর এগুলো ঠান্ডা করে নিন। এরপর এগুলো ব্লেন্ডারে দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এই বায়োটিন পাউডার এয়ার টাইট কৌটোতে ভরে রেখে দিন। প্রতিদিন এক চামচ করে এই বায়োটিন পাউডার দুধে মিশিয়ে পান করুন। আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, কুমড়োর দানা ইত্যাদি খাবারগুলো নানা উপায়ে চুল ও ত্বককে উপকারিতা প্রদান করে। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে, চুল পড়া কমায় এবং ত্বক ও চুলকে পুষ্টি জোগায়।