বাঙালির প্রতিটা রান্নাঘরে ঘি পাওয়া পাওয়া যায়। খাবারে স্বাদ যোগ করা ছাড়াও ঘি’কে আপনি আরও নানা উপায়ে ব্যবহার করতে পারবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ উপায় হল রূপচর্চা। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন। রূপচর্চার দুনিয়াতেও ঘিয়ের ব্যবহার রয়েছে। এমনকী আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও ঘি দিয়ে রূপচর্চার কথা উল্লেখ রয়েছে। মূলত ঘিয়ের ওষুধের গুণের কারণে আয়ুর্বেদে রূপচর্চার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এই ঘি। তবে এই শীতের মরশুমে ঘি আপনার ত্বকের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠতে পারে। প্রাকৃতিক জেল্লা ফেরানো থেকে শুরু করে ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখা—কোন ক্ষেত্রে কী উপায়ে ঘি ব্যবহার করবেন, দেখে নিন।
শুষ্ক ত্বকে ঘি
কিছু কিছু মানুষের ত্বক সারা বছর শুষ্ক থাকে। কিন্তু শীতে তৈলাক্ত ব্যক্তির ত্বকও শুকিয়ে যায়। এটা বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে দেখা দেয়। সামান্য ঘি নিয়ে হাত-পায়ে, কনুইয়ে এবং হাঁটুর মতো শুকনো অংশে লাগিয়ে নিন। হালকা হাতে মালিশও করতে পারেন। নিয়মিত এই উপায় মানলে শীতে শুষ্ক ত্বক নিয়ে চিন্তা থাকবে না।
শীতের সেরা ময়েশ্চারাইজার ঘি
ঘি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে, হাইড্রেট করতে এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এর জন্য কাঁচা দুধের সঙ্গে বেসন মিশিয়ে নিন। এতে সামান্য ঘি যোগ করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকের উপর লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটা নিয়মিত ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন।
ফাটা ঠোঁটের যত্নে ঘি
শীতে আসলেই বেশিরভাগ মানুষ ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে আপনি ঘি ব্যবহার করতে পারেন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে আঙুলের ডগায় সামান্য ঘি নিন। এবার এটা ঠোঁটে লাগিয়ে কয়েক মিনিট সার্কুলার মোশনে মালিশ করে রেখে দিন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। আপনি এই টোটকাটি প্রতি রাতেও ব্যবহার করতে পারেন।
ফাটা গোড়ালির যত্নে ঘি
শীতে পা ফাটার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রাতে গোড়ালিতে ঘি মেখে ঘুমান। এতে ঘুম ভাল হবে। ঠান্ডা আবহাওয়াতে শরীর গরম থাকবে। পাশাপাশি ফাটা গোড়ালির সমস্যাও দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
বলিরেখা রুখে দেয় ঘি
চোখ দুটো খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে? চোখের আশেপাশে, কপালে বলিরেখা দেখা দিচ্ছে? মুখে ঘি মালিশ করতে পারেন। ঘিয়ের মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে। এটি ত্বককে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এতে মুখে দীপ্তি আসে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ে।