Hair Colouring: চুলের কালার করবেন বলে প্ল্যান করছেন? চুলের যত্ন নিতে কী কী মাথায় রাখবেন, জানুন

Hair Care Tips: এখনও হেয়ার কালার করেননি, কিন্তু প্ল্যানে রয়েছে, তাহলে কীভাবে চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখবেন তার কয়েকটি টিপস এখানে শেয়ার করা হল, দেখে নিন একঝলকে...

Hair Colouring: চুলের কালার করবেন বলে প্ল্যান করছেন? চুলের যত্ন নিতে কী কী মাথায় রাখবেন, জানুন

| Edited By: দীপ্তা দাস

Mar 29, 2022 | 8:13 AM

অনেকেই হয়তো জানেন না চুলের স্বাস্থ্য আমাদের শরীরের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই দৈনন্দিন জীবনে চুলের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। চুলের স্বাভাবিক রঙ বদলে ফেলার প্রবণতা অনেকেরই রয়েছে। স্টাইলের জন্য অধিকাংশ চুলে কালার করেন। কিন্তু কালার করার পর চুলের জীবনীশক্তি ও স্বাস্থ্য বজায় রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

হেয়ার কালার করা থাকলে চুলের যত্নের জন্য বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার। এখনও হেয়ার কালার করেননি, কিন্তু প্ল্যানে রয়েছে, তাহলে কীভাবে চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখবেন তার কয়েকটি টিপস এখানে শেয়ার করা হল, দেখে নিন একঝলকে…

কী কী করবেন

– চুলের জন্য কোন রঙ পছন্দ করছেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। নিজের পছন্দ মত রঙ ঠিক করুন, কিন্তু সেই রঙ যেন প্রাকৃতিক অ্যামোনিয়া মুক্ত রঙ হতে হবে। তাতে চুলের ক্ষতি অনেকটাই কম হয় ও শ্যাম্পু করার পর তা বিবর্ণ হয়ে যায় না। বিবর্ণ হলে চুলের রঙ কেমন দেখায় তা আগে পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারেন।

– কালার করার পর প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। কন্ডিশনারগুলি কিউটিকল সিল করতে সাহায্য করে ও রঙের স্থায়ীত্ব ও তীব্রতা আরও বাড়ায়। যখন চুল ধূসর হয়ে যায়, তখন কিউটিকলগুলি খোলা থাকে ও অরক্ষিত থাকে। ফলে চুলের আর্দ্রতা ও খনিজগুলি ধরে রাখতে পারে না।

– সবসময় আপনার চুলকে ময়েশ্চারাইজ করার চেষ্টা টকরবেন। স্ট্র্যান্ড ও স্কাল্পে আর্দ্রতা বজায় রাখা চুলের পুষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাতে কালারবেশ উজ্জ্বল ও চকচকে দেখায়। এছাড়া চুলের কোমলতাও বজায় থাকে।

– ক্লোরিন থেকে চুলকে রক্ষ করতে পুলে যাওয়ার আগে চুলে প্রথমে শাওয়ার নিতে পারেন। এছাড়া জল থেকে ওঠার পর ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি হাইড্রেটিং মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

কী কী করবেন না

-স্টাইলিং ব্রাশ, বৈদ্যুতিক ব্রাশ, প্লেট বা ড্রায়ারের মতো তাপ উত্‍পাদনকারী মেশিন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এগুলো দিয়ে আপনার চুলকে পরিপাটি দেখাতে পারে, কিন্তু শুষ্ক চুল এবং রং নষ্ট হওয়ার জন্যও দায়ী।

– স্নানের সময় আপনাকে গরম জল এড়াতে হবে কারণ এটি চুলের কিউটিকল খুলে দেয়। তাতে রঙ এবং হাইড্রেশনের জন্য সংবেদনশীল করে তোলে।

– কঠোর রাসায়নিক এবং বিষাক্ত পদার্থ এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে ভেষজ চুলের রং নির্বাচন করুন. চুলের যত্নের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গুণমানে বিনিয়োগ করুন।

– সূর্যের সরাসরি তাপ থেকে এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হওয়ার সময় টুপি এবং ক্যাপ ব্যবহার করতে ভুলবেন না। অত্যধিক তাপ এড়িয়ে চলুন তাতে চুলের ক্ষতি দ্বিগুণ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: Hair Thinning: চুল ঝরে পাতলা হয়ে যাচ্ছে? ঘন চুল পেতে আজ থেকেই ট্রাই করুন এই ৫ ভেষজ