
শীতকাল আসতে এখনও সপ্তাহখানেক বাকি। কিন্তু দীপাবলির আগে থেকেই ঠান্ডার আমেজ টের পাচ্ছে বাঙালির। এখন স্নানের জলে অল্প গরম জল মেশাতে হচ্ছে মাঝে-মধ্যে। আর কয়েকদিন পর পুরোদমে গরম জলেই স্নান সারতেই হবে। কিন্তু স্নান না করলেই বিপদ। শীতকালে অনেকের মধ্যে স্নান না করার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু শরীরকে সুস্থ রাখতে গেলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাও দরকার। তাই স্নান না করলে রোগের কবলে পড়তে পারেন আপনি। বিশেষত, শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এসময় স্নান না করলে ত্বকে সংক্রমণ, চুলকানি, র্যাশের সমস্যা বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ স্নান না করলেও চলে যায়। অনেকের ধারণা, অতিরিক্ত স্নান করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায় এবং চামড়ার ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত স্নানেও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া খুব ঠান্ডায় প্রতিদিন স্নান করা একটু কষ্টকর হয়ে যায় অনেকের পক্ষেই। এক্ষেত্রে রোজ স্নান না করলেও শরীরের এমন তিনটি অংশ রয়েছে, যা প্রতিদিন পরিষ্কার করা দরকার। আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন স্নান করতে পারেন। কিন্তু শরীরের এই তিন অংশ প্রতিদিন পরিষ্কার করতেই হবে।
আন্ডারআর্মস: শীতকালেও ঘাম হয়। আর আন্ডারআর্মস যেহেতু ঢাকা এবং ঘামের কারণে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে, তাই এখানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। প্রতিদিন আন্ডারআর্মস পরিষ্কার না করলে দুর্গন্ধ ছাড়বে। পাশাপাশি চুলকানি, র্যাশের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন বডি ওয়াশের সাহায্যে আন্ডারআর্মস পরিষ্কার করুন। এটি আপনাকে শীতকালে তরতাজা থাকতেও সাহায্য করবে।
উরুসন্ধি বা কুঁচকি: উরুসন্ধি বা কুঁচকির জায়গা আপনাকে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। যৌনাঙ্গের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তর্বাস পরিবর্তন করা দরকার। এই অংশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি থাকে। যৌনাঙ্গ পরিষ্কার না করলে, মহিলাদের ক্ষেত্রে এখান থেকে ইস্ট সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি দুর্গন্ধ ছাড়তে থাকে। তবে, যোনি এলাকা পরিষ্কারের জন্য গরম জল বা সাবানের ব্যবহারের দরকার নেই। এতে যোনি এলাকায় উপস্থিত ইস্টের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর সাবান ওই অঞ্চলের ক্ষারের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। তাই পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে যোনি এলাকা পরিষ্কার করুন।
পায়ের পাতা: আপনার সারা শরীরের ভার বহন করে পায়ের পাতা। তাই এর খেয়াল আপনাকে রাখতেই হবে। রাস্তা থেকে ঘুরে বাড়ি ফেরার পর অবশ্যই পায়ের পাতা পরিষ্কার করুন। শীতকালে মোজা পরা হয়। পা পরিষ্কার না করলে এখান থেকে নখ ও চামড়ার সংক্রমণ ও দুর্গন্ধর সমস্যা বাড়তে পারে। গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর সাবান বা এক্সফোলিয়েটরের সাহায্যে পা ঘষে পরিষ্কার করুন। পা শুকনো করে মুছে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার মাখবেন। এতে শীতকালে গোড়ালি ফাটার সমস্যাও দূর করা যাবে।