
চাল ধোয়া জল হোক বা ভাতের ফ্যান, ‘রাইট ওয়াটার’-এর উপকারিতা দিন-দিন বাড়ছে। এই চালের জল উচ্চ পরিমাণে মিনারেল ও পুষ্টিতে ভরপুর। রাইস ওয়াটারের মধ্যে ইনোসিটল, ফেরুলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই-এর মতো উপাদান রয়েছে। আর এই কারণেই রাইস ওয়াটার উপকারী চুলের জন্য। অনেকেই চাল ধোয়া জল চুলে ব্যবহার করেন। আবার কেউ পরামর্শ দেন ভাতের ফ্যান ব্যবহারের। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের দাবি, আপনি চাল ধোয়া জল ও ভাতের ফ্যান দুটো চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারবেন।
চুলের যত্নে রাইস ওয়াটারের ভূমিকা-
রাইস ওয়াটারের মধ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, যা চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং চুলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত চুলে রাইস ওয়াটার ব্যবহার করলে খুশকি, চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়ে যায়। আপনার রুক্ষ-শুষ্ক চুলে প্রাণ এনে দিতে পারে রাইস ওয়াটার। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিজি হেয়ারের সমস্যায় ভুগছেন, ওয়ান স্টপ সলিউশন হতে পারে রাইস ওয়াটার। এমনকী চুলের বৃদ্ধিতেও বিশেষ সাহায্য করে রাইস ওয়াটার। তাছাড়া রাইস ওয়াটার আপনার চুলকে ময়েশ্চারাইজড করতে সাহায্য করে। দেখা গিয়েছে, উকুনের সমস্যা দূর করতে রাইস ওয়াটার দারুণ কার্যকর।
চাল ধোয়া জল নাকি ভাতের ফ্যান, কোনটি ব্যবহার করবেন?
চুলের যত্নে বেশিরভাগ মানুষ চাল ধোয়া জল ব্যবহার করেন। আবার কারও পছন্দ ভাতের ফ্যান। কিন্তু আপনি যদি কে-বিউটির ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে ফার্মেন্টেড রাইস ওয়াটার ব্যবহার করুন। অর্থাৎ চাল ধোয়া জলকে পচিয়ে ব্যবহার করুন। ২-৩ কাপ জলে ভাল করে চালটা ধুয়ে নিন। ৩০ মিনিট ওই জলে চালটা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ওই জল ছেঁকে তুলে রাখুন একটি জারে। এই জল ২-৩ দিন জল ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিন। তারপর দেখবেন, এই জল থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছে। তখন বুঝবেন ফার্মেন্টেড রাইস ওয়াটার তৈরি আপনার চুলে ব্যবহারের জন্য।
যে উপায়ে চুলের যত্নে ফার্মেন্টেড রাইস ওয়াটার ব্যবহার করবেন-
২-৩ কাপ ফার্মেন্টেড রাইস ওয়াটার পরিষ্কার জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। চুলে ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন। এরপর চুলে লাগান ফার্মেন্টেড রাইস ওয়াটার। কয়েক মিনিট ভাল করে চুলে ম্যাসাজ করুন। তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুলের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে।