শীতের নিত্যসঙ্গী ক্রিম, তেল, ময়েশ্চারাইজার। শুষ্ক আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের ত্বক। তাছাড়া শহরে যে হারে দূষণ বেড়ে গিয়েছে, তাতে ত্বকের যত্ন নেওয়া আবশ্যিক হয়ে উঠেছে। আজকাল বাজারে একাধিক ভাল প্রসাধনী পণ্য পাওয়া যায়, যা ত্বকের খেয়াল রাখে। কিন্তু একটা সময় শীতে মা-ঠাকুমাদের ভরসা ছিল শুধু গ্লিসারিন। এই বর্ণহীন আর গন্ধহীন প্রাকৃতিক উপাদানটি শীতে ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু এখন যে হারে কে-বিউটি কিংবা অন্যান্য প্রসাধনী পণ্যের চাহিদা বেড়েছে, তার মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে গ্লিসারিন। কিন্ত অনেকেই হয়তো জানেন না যে, শীতের ময়েশ্চারাইজার তৈরিতেও গ্লিসারিন ব্যবহার করা হয়।
আপনি যে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন তাতেও গ্লিসারিন পাওয়া যায়। তাহলে কেন অন্য রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার করবেন। বরং শীতে সরাসরি ত্বকের উপর গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। গ্লিসারিন হল প্রাকৃতিক উপাদান। এটি ত্বকের উপর কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফেলে না। গ্লিসারিনের মধ্যে ট্রাই-হাইড্রক্সি অ্যালকোহল থাকে। তাই এটি যে কোনও ধরনের ত্বকের উপর ভাল করে কাজ করতে পারে। কিন্তু যখন প্রশ্ন ওঠে ত্বককে কোমল রাখার তখন কি সরাসরি গ্লিসারিন ব্যবহার করা যায়? কিংবা গ্লিসারিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি কোনও নিয়ম মানতে হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১) সরাসরি ত্বকের উপর গ্লিসারিন ব্যবহার না করাই ভাল। এর চেয়ে আপনি গোলাপ জলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে ত্বকে মাখতে পারেন। এছাড়াও অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
২) গ্লিসারিন ব্যবহারের আগে অবশ্যই ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নেবেন। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য মাইল্ড ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
৩) গ্লিসারিন যুক্ত ফেসপ্যাক ব্যবহারের পর ঈষদুষ্ণ গরম জল ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল থাকবে।
৪) তৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তিরাও গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। এক চামচ গ্লিসারিন ও এক চামচ গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন।
৫) অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক হলে, এক চামচ কাঁচা দুধের সঙ্গে এক চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগান। এতে ত্বক কোমল থাকবে।
৬) গ্লিসারিনকে মেকআপ রিমুভার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিলেই ত্বকের জেল্লা বাড়বে।