
এক কাপ কফি ছাড়া অনেকেরই দিনের শুরু হয় না। সকালবেলা এক কাপ ব্ল্যাক কফি সমস্ত ঘুম কেড়ে নেয়। এমনকী অফিসের ঝিমুনি দুপুরে কফি খেলে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এক নিমেষে আপনাকে তরতাজা বোধ করায়। এই একই তরতাজা অনুভূতি আপনি আপনার ত্বকেও পেতে পারেন। সেটাও কফি দিয়েই সম্ভব। কফির মধ্যে ক্যাফেইন নামের যৌগ থাকায়, বিকালের পর এই পানীয় পান না করাই ভাল। কিন্তু সন্ধেবেলা আপনার নিস্তেজ ত্বকে ফ্রেশনেস আনতে কাজে আসে কফির ক্যাফেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
এক্সফোলিয়েটর: কফি পাউডার ত্বকে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। কফি গুঁড়োর সঙ্গে নারকেল তেল বা দই মিশিয়ে মুখ ও দেহে অন্যান্য অংশে স্ক্রাব করতে পারেন। এমনকী অলিভ অয়েল মিশিয়েও স্ক্রাব বানিয়ে নিতে পারেন। এটি মরা কোষ দূর করে ত্বককে কোমল ও তরতাজা করে তোলে। কিন্তু খুব চেপে ঘষবেন না।
হেয়ার মাস্ক: ত্বকের পাশাপাশি চুলের জেল্লাও বাড়িয়ে তোলে কফি। এক কাপ ব্ল্যাক কফি বানিয়ে নিন। তারপর এটা ঠান্ডা করে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই ব্ল্যাক কফি চুলে ঢালুন। কফি আপনার চুলের জেল্লা বাড়িয়ে তুলবে। পাশাপাশি পাকা চুলের সমস্যা দূর করবে।
চোখের মাস্ক: চোখের নীচের ফোলাভাব দূর করতে কফি দারুণ সহায়ক। অল্প কফির গুঁড়ো নিয়ে দই বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চোখের নীচে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রাখুন, তারপর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লিপ স্ক্রাব: ঠোঁটেরও যত্ন নেয় কফি। ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করলে নরম ও কোমল থাকে। পাশাপাশি ঠোঁটের গোলাপি আভা বজায় থাকে চিরকাল। কফির সঙ্গে মধু বা নারকেল তেল মিশিয়ে ঠোঁটের উপর হালকা ঘষুন। এটি স্ক্রাবটি ঠোঁটের মরা কোষ দূর করার সঙ্গে আপনার ঠোঁটকে নরম করে তুলবে।
ফেস মাস্ক: সামনেই পুজো। তাই ত্বকের জেল্লাও বাড়াতে হবে। কিন্তু পার্লারে গিয়ে নয়। বাড়িতেই সাহায্য নিন কফির। কফি গুঁড়োর সঙ্গে টক দই ও লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগান। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফেসপ্যাক আপনার ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করবে। পাশাপাশি টক দই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে তুলবে।
ফুট স্ক্রাব: পায়ের যত্ন ভুলে গেলে চলবে না। কফি গুঁড়োর সঙ্গে ইপসম সল্ট ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই স্ক্রাবটি পায়ে ঘষুন। এতে আপনার পায়ের যাবতীয় দাগছোপ দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি পুজোর আগে পেডিকিওরের খরচও বেঁচে যাবে।