
ঘন কালো চুলের মাঝে চার-পাঁচটা পাকা চুল। আবার কারও চুলের গোড়াগুলো ধূসর। কিন্তু বয়স এখনও চল্লিশও পেরোয়নি। অর্থাৎ কম বয়সেই চুলে পাক ধরেছে। চেহারার সঙ্গে চুলের সৌন্দর্য মিল খাচ্ছে না। তাই চুলের অকালপক্কতা ঢাকতে দ্বারস্থ হতে হচ্ছে পার্লারে। না চাইতেও প্রতিমাসে রুট টাচ-আপ দিতে হচ্ছে। আবার কাউকে কয়েক মাস অন্তর-অন্তরই চুলে রং করাতে হচ্ছে। আবার কেউ কেমিক্যাল ডাই করাচ্ছেন বাড়িতেই। কিন্তু স্থায়ী সমাধান মিলছে না কোনও উপায়েই। কিন্তু কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে বাড়ছে চুলের ক্ষয়। এবার ঘরোয়া উপায়ের সাহায্য নিন।
ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্যেও আপনি চুলের ধূসর রং ঢেকে ফেলতে পারেন। মূলত দূষণ, চুলের অযত্ন, লিভারের সমস্যা কিংবা জেনেটিক কারণে বয়সের আগে চুল পাক ধরে। আবার অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে কেমিক্যাল, হিট ব্যবহারের ফলেও চুলের দফারফা অবস্থা হয়। এই অবস্থায় চুলের ধূসর রং দূর করতে পারেন কফি ব্যবহার করে। শুনতে অদ্ভুত লাগছে? হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন। কফি আপনার চুলেকে আবারও কালো করে দিতে পারে।
কফি পাকা চুলের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি চুল পড়াকে রোধ করে। স্ক্যাল্পকে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। চুলে কফি ব্যবহার করলে আসে চকচকে ভাব। তাছাড়া কফির মধ্যে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, নানা উপায়ে স্ক্যাল্প ও চুলকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। কিন্তু চুলের কীভাবে কফি ব্যবহার করবেন, জানেন না? রইল টিপস।
পাকা চুল ঢাকতে যে উপায়ে কফি ব্যবহার করবেন-
চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী গরম জলে কফি বানিয়ে নিন। ওই জল ঠান্ডা হলে তাতে আরও ২-৩ চামচ কফির গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এবার এতে মেশান হেয়ার কন্ডিশনার। আপনি প্রতিদিন যে কন্ডিশনার ব্যবহার করেন, সেটাই ব্যবহার করতে পারেন। তৈরি আপনার কফির হেয়ার মাস্ক।
প্রথমে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন চুল ও চুলের গোড়া থেকে সমস্ত ময়লা দূর হয়ে যায়। তারপর চুল শুকনো করে মুছে নিন। চুলে যেন জল না থাকে। এবার ওই ভিজে চুলেই কফির হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে নিন। হেয়ার মাস্ক লাগানো হয়ে গেলে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল মুড়ে নিন। এই অবস্থায় আপনাকে এক ঘণ্টা থাকতে হবে। তারপর সাধারণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। কাজ শেষ। দেখবেন আপনার পাকা চুল কালো হয়ে গিয়েছে।