
শীত মানেই বাড়ে খুশকির সমস্যা। আর খুশকি হলে চুল পড়ে যাবেই। এছাড়াও খুশকি হলে সবসময় মাথা চুলকোয়। সর্বসমক্ষে মাথা চুলকোলে দেখতেও খুব ভাল লাগে। শীতকালে মাথায় নোংরা বেশি হয়। তেল চিটচিটে ভাব বেশি থাকে। যে কারণে জাঁকিয়ে বসে খুশকির সমস্যা। আর তাই আগে থেকে সাবধান হয়ে যেতে পারলে সবচাইতে ভাল। এছাড়াও খুশকি কিন্তু ছোঁয়াচে। কারোর খুশকি হয়েছে এমন ব্যক্তি যে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান সেই চিরুনি দিয়ে যদি অন্য কেউ চুল আঁচড়ান তাহলে তাও খুশকির সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই শীতকালে স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখতেই হবে। খুশকির সমস্যায় নিয়মিত ভাবে অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পু, হট অয়েল ম্যাসাজ এসব মেনে চলুন। এতে চুল খুব বেশি রুক্ষ্ম হয়ে যাবে না। পাশাপাশি মেনে চলুন ঘরোয়া কিছু টোটকাও।
যদি খুশকির সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ এই রকম সমস্যা হলে তা একরকম ফাঙ্গাল ইনফেকশনের পর্যায়ে পড়ে। আর এর জন্য যাথাযথ ওষুধ প্রয়োজন। এসব ছাড়াও যা কিছু মেনে চলবেন-
খুশকির সমস্যা রুখতে সবচাইতে ভাল কাজ করে লেবুর রস। অনেকেই ভিনিগার ব্যবহার করেন তবে এই ভিনিগারের চাইতে লেবুর রস অনেক ভাল। লেবুর রস আর নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে স্ক্যাল্পে ঘষে ঘষে লাগান। এরপর ৩০ মিনিট রেখে দিন এই ভাবে। এবার অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পু আর নারকেল তেল একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে তা মাথায় ঘষে ঘষে লাগান। মিনিট ২০ রেখে ইষদুষ্ণ জলে খুব ভাল করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে তিনদিন এই টোটকা ব্যবহার করলে কাজ হবেই। এছাড়াও সরষের তেল গরম করে তা মাথার স্ক্যাল্পে ঘষে ঘষে লাগান। এতেও কিন্তু খুশকির সমস্যা অনেক চলে যায়। তবে টানা কয়েকদিন কিন্তু ব্যবহার করতেই হবে। তবেই যদি কাজ হয়। এতে চুল পড়াও কমবে।