Haircare Tips: হেয়ার কালারে জন্য ক্ষতিগ্রস্ত চুল! ঘরোয়া এই হেয়ারমাস্ক সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন আর তফাতটা বুঝুন
চুলে পুষ্টির জন্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে হেয়ার মাস্ক অত্যন্ত জরুরি। তার জন্য কোনও বাইরে যেতে হবে না। শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের থেকে পরিত্রাণ পেতে অ্যাভোকাডো ও ডিম ব্যবহার উপযুক্ত উপকরণ।
চুল বা ত্বক, যে কোনও অংশে যত্ন নেওয়া একটি সাধনার মতো। চুলের পুষ্টি ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে প্রতিদিন পরিচর্চার প্রয়োজন। চুলের ক্ষতি আপনার চুলের স্বাস্থ্য, নান্দনিকতা, আত্মসম্মানের ব্যপক প্রভাব ফেলতে পারে। চুলে নানারকমের পছন্দমতো কালার করলে চুলের ক্ষতি হয় বৈকি। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ট্রিকোলজি, একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে, যার মতে রাসায়নিক ভিত্তিক চুলের কালারে বিষাক্ত রাসায়নিক, ক্ষার জাতীয় পিএইচ স্তর, ড্রাই এজেন্ট এবং সালফেট দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। এর ফলে চুল নিস্তেজ হয়ে যায়, চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও শক্তি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, চুলের ফাইবার ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ এটি।
চুলে পুষ্টির জন্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে হেয়ার মাস্ক অত্যন্ত জরুরি। তার জন্য কোনও বাইরে যেতে হবে না। শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের থেকে পরিত্রাণ পেতে অ্যাভোকাডো ও ডিম ব্যবহার উপযুক্ত উপকরণ।
ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এছাড়া সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাসিয়াম, লেসিথিন ও ফসফরাসে পরিপূর্ণ। চুলের পুষ্টির জন্য ও চুল বৃ্দ্ধি করতে সাহায্য করে। চুলকে চকচকে , সিল্কি ও মসৃণ করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে, অ্যাভোকাডোতে রয়েছে ভিটামিন ই, কে ও সি। এছাড়া পটাসিয়াম, প্রোটিন, ওলিক অ্যাসিড ও ফোলেট। এই উপকারী ফলের কারণে চুল পড়া রোধ করে ও প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ঝলমলে, মসৃণ ও শক্তিশালী গোড়া তৈরি করতে, কোমল করতে অ্যাভোকাডোর জুড়ি মেলা ভার। ক্ষতিগ্রস্ত চুলে প্রাণ ফেরাতে ডিম ও অ্যাভোকাডোর হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। দ্রুত এর কার্যকারিতা উপলব্ধ করতে পারবেন।
কী কী লাগবে
অ্যাভোকাডো,১টি ডিম, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
কীভাবে ব্যবহার করবেন
একটি ব্লেন্ডারে প্রথমে ডিম ভেঙে ফেটিয়ে নিন। তাতে অ্যাভোকাডো মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন।
এবার একটি ছোট বাটিতে ওই মিশ্রণটি ঢেলে তাতে অলিভ ওয়েল যোগ করুন। প্রত্যকটি উপাদান সমান রাখার চেষ্টা করুন। এই উপকারী পেস্টটি এবার চুলে হেয়ার মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
-চুলের গোড়া. মাথার ত্বক থেকে চুলের আগা পর্যন্ত এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
– পেস্টটি ব্যবহার করে ১০-১৫ মিনিটের জন্য আলতো করে মাসাজ করে নিন। ২-৩ ঘণ্টা জন্য রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করে ভালভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে এক বা দুবার এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে ক্ষতিগ্রস্থ চুল কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই স্বাস্থ্যকর চুলে পরিণত হয়ে যেতে বাধ্য।
আরও পড়ুন: Haircare Tips: হেয়ারলাইন পাতলা হয়ে যাওয়া বন্ধ করতে এই ৭ টিপস ফলো করুন, ফল পাবেন হাতেনাতে