আজকাল ৬০ পর্যন্ত পৌঁছাতে হয় না, তার আগে মাথায় পাকা চুল দেখা দেয়। এমনকি ৩০-এর কোঠায় পা দেওয়ার আগেই এক-দুটো করে উঁকি দেয় ধূসর চুল। কম বয়সে পাকা চুলের পিছনে নানা কারণ দায়ী। কিন্তু ৪০ কিংবা ৫০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছে যদি পাকা চুলের সমস্যা দেখা দেয়, তখন চুলে রং করানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। কেউ রুট টাচ-আপ করান, আবার কেউ হাইলাইট করিয়ে নেন। কিন্তু পাকা চুলের সমস্যায় সবচেয়ে ভাল ফল দেয় হেনা। হেনার মধ্যে কোনও রাসায়নিক উপাদান থাকে না, যা চুলের ক্ষতি করতে পারে।
হেনার গুণে সহজেই পাকা চুলকে কালো করা যায়। কিন্তু অনেকেরই বক্তব্য, হেনা করার পরও যেন চুলে প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরে পাওয়া যায় না। হেনা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। হেনা করলে চুল মিশমিশে কালো দেখায়, যা খুব অস্বাভাবিক দেখতে লাগে। এমন নানা অভিযোগ থাকে হেনা নিয়ে। এর কারণ হয়, আপনি সঠিক উপায়ে হেনা ব্যবহার করেন না। হেনাকে জলে ভিজিয়ে রেখে সরাসরি চুলে লাগান। এতে চুল কালো হলেও ভাল ফল মেলে না। হেনা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে মানতে হবে সহজ টোটকা।
হেনার হেয়ার মাস্ক বানাবেন যে উপায়ে-
২-৩ চামচ হেনা নিন। ৮-৯ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। হেনার হেয়ার মাস্ক তৈরির আগে লিকার চা বানিয়ে নিন। ২ কাপ জলে ২ চামচ চা পাতা ভাল করে ফুটিয়ে নিন এবং চা ছেঁকে নিন। এবার হেনার সঙ্গে লিকার চা ও ১/২ চামচ লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে আপনি আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন।
এবার চুল ভাল করে আঁচড়ে নিন। চুলের আগা থেকে ডগা থেকে ভাল করে হেনা লাগিয়ে নিন। মাথায় শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে নিন। এবার ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। হেনার ব্যবহারের পর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। হেনার করলে শ্যাম্পু করবেন না। শ্যাম্পু করলে হেনার কার্যকারিতা কমে যাবে। যে দিন হেনা করবেন, তার পরদিন শ্যাম্পু করুন। এই টোটকায় হেনা দীর্ঘস্থায়ী হবে। মাসে এক বা দু’বার হেনার করতে পারেন। এতে চুল কালো থাকবে এবং চুলের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।