
আদকাল অনেকেরই কম বয়সেছে একাধিক ত্বকের সমস্যা আসছে। ত্বকে ব্রণর সমস্যা তো ছিলই। সেই সঙ্গে বাড়ছে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা। পাশাপাশি কম বয়সেই চামড়া কুঁচকে যেতে শুরু করেছে। এর অন্যতম কারণ হল ত্বকে অতিরিক্ত কেমিক্যালের ব্যবহার। ক্রিম, তেল, সাবান, সিরাম এসবের অতিরিক্ত ব্যবহার সেই সঙ্গে ডি-ট্যানিং, ফেসিয়াল, পলিশ এসব বেশি করার ফলে প্রভাব পড়ছে ত্বকে। যে কারণে ত্বক বয়সের অনেক আগেই শুষ্ক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সবচাইতে ভাল ঘরোয়া রূপটান কাজে লাগানো। এতে ত্বকের কোনও রকম ক্ষতি হয় না। সেই সঙ্গে মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না, বজায় থাকে উজ্জ্বলতাও। এর জন্য বেশি খরচাও করতে হয় না। বাড়িতে হাতের সামনে যা কিছু থাকে তাই দিয়েই সহজে করা যায় রূপচর্চা।
বাজারে অ্যান্টি এজিং ক্রিমের দাম সবচাইতে বেশি। আর পরিমাণেও খুব কম থাকে। ফলে বেশিদিন তা চলে না সেখান থেকে পকেটেও টান পড়ে। তাই ঘরোয়া উপায়ে যদি এভাবে ক্রিম বানিয়ে নিতে পারেন তাহলে টাকা বাঁচবে আর ত্বকও ভাল থাকবে। এর জন্য প্রথমেই যা ঠিক রাখতে হবে তা হল ডায়েট। ক্যালোরি মেপে খাবার খেতে হবে। বেশি মশলাদার খাবার খেলে চলবে না। চিনি, নুনও একেবারেই কম খাবেন। চিনি ছেড়ে দিতে পারলে সবচাইতে ভাল।
এই ক্রিম বানাতে কাজে লাগান পেঁয়াজ। পেঁয়াজের মধ্যে যেমন ভিটামিন সি থাকে তেমনই থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। পেঁয়াজে থাকা ভিটামিন এ, সি ও কে ত্বকের পিগমেন্টশন থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এছাড়া ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকেও রক্ষা করে। ভিটামিন সি থাকায় পেঁয়াজ ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান।
একটা ছোট সাইজের পেঁয়াজ নিয়ে গ্রেটারে গ্রেট করে নিতে হবে। এবার ছাঁকনির মধ্যে ওই পেঁয়াজ রেখে রস বের করে নিন। এর মধ্যে দু চামচ গুঁড়োদুধ আর দু চামচ বেসন মিশিয়ে দিতে হবে। এবার এতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। ব্যাস এবার এই প্যাক স্নানের অন্তত ৩০ মিনিট আগে মুখে লাগান। তা শুকিয়ে গেলে মুখ জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এরপর ফেসওয়াশ ব্যবহারের দরকার নেই। স্নানের পর অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিতে পারেন।