Bath Soap: কেমন হবে স্নানের সাবান? বাথটবে বডি ওয়াশ না সাবান, কোনটি উপযুক্ত?

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Dec 29, 2021 | 9:07 AM

স্নানের সাবানের চাইতেও বেশি দরকারি জলের উষ্ণতার বিষয়টি। মনে রাখবেন, খুব বেশি গরম জলে স্নান করলে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। আবার খুব ঠান্ডা জলে স্নান করলে সর্দিকাশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সবচাইতে ভালো ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করা।

Bath Soap: কেমন হবে স্নানের সাবান? বাথটবে বডি ওয়াশ না সাবান, কোনটি উপযুক্ত?
ছবিটি প্রতীকী

Follow Us

স্নানের সাবানের চাইতেও বেশি দরকারি জলের উষ্ণতার বিষয়টি। মনে রাখবেন, খুব বেশি গরম জলে স্নান করলে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। আবার খুব ঠান্ডা জলে স্নান করলে সর্দিকাশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সবচাইতে ভালো ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করা।

আর স্নান করার সময়, সাবানের তুলনায় বডি ওয়াশ ব্যবহার করা দরকার। সাবানের চাইতে বডি ওয়াশ অনেক বেশি নরম, ক্ষারের পরিমাণ কম থাকে। তাছাড়া খুব সামান্য বডি ওয়াশেই স্নান হয়ে যায়। মনে রাখবেন, হাতে বডিওয়াশ নিয়ে তাতে আর একটু জল মেশান। এবার সম্ভব হলে লুফা বা ছোট নরম ভিজে তোয়ালের উপর বডি ওয়াশ নিয়ে সারা শরীরে মেখে ফেলুন। লুফার চাইতে ছোট রুমালের মতো তোয়ালে ব্যবহার করা ভালো। কারণ, লুফায় অনেকসময় ত্বক কেটে গেলে তা বোঝা যায় না। আর একটা কথা মাথায় রাখবেন, স্নান করার মূল উদ্দেশ্য হল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া। তাই গায়ে কোথাও সাবান বা বডি ওয়াশের ফেনা লেগে রয়েছে কি না, তার দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের কানের পিছনে ফেনা জমে থেকে র‌্যাশ, সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অভিভাবকরা বাচ্চাদের স্নান করানোর সময় এই বিষয়ে খেয়াল রাখুন। অন্যদিকে বড়দের উচিত ভালো করে শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে বা গায়ে ভালো করে জল ঢেলে ফেনা পরিষ্কার করা।

স্নান আর তেল: স্নানের আগে সামান্য তেল নিয়ে, মুখ আর হাত বাদে সারা শরীরে মেখে নিলে। এতে শরীরের মধ্যে তেল ছড়িয়ে যায়। এতে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে। স্নান হয়ে গেলে একটু সিরাম নিয়ে গায়ে মেখে নেওয়া দরকার। আর দিনের বেলায় স্নান করে বেরতে হলে, মুখে আর শরীরের যে যে অংশ খোলা থাকবে সেখানে সানস্ক্রিন লোশন মেখে নিতে হবে।

স্নানের জন্য উপটান: খুব ভালো হয় সাবান বা বডি ওয়াশের থেকে উপটান ব্যবহার করলে। বাড়িতেই উপটান তৈরি করা যায়। সরষে শুকনো খোলায় ভেজে নিন। তারপর সরষে বেটে একটা পেস্ট তৈরি করুন। তার পর গায়ে জল ঢেলে সরষে পেস্ট গায়ে মেখে স্নান করতে পারেন। এতে ত্বকে ট্যান পড়ে গেলে তা কেটে যাবে। আরও ভালো হয় সরষে পেস্টের সঙ্গে সামান্য মুলতানি মাটি, অশ্বগন্ধা, কেওলি মিশিয়ে নিয়ে গরমকালে স্নান করলে। কালো দাগ-ছোপ তুলতে এই উপটানের তুলনা হয় না। আবার শীতকালে এই একই মিশ্রণের সঙ্গে মধু আর অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই মিশ্রণ মেখে স্নান করলে ত্বক খুব ভালো থাকে। ঔজ্বল্য বাড়ে। সপ্তাহে দু’দিন এই উপটানে স্নান করলেই যথেষ্ট।

বাথটবে স্নান: আগে বাথটবে, পরিষ্কার পুকুরে স্নান করার অভ্যেস ছিল দেশের মানুষের। এখন জায়গার অভাবে এই ধরনের অভ্যেসগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বলে রাখি, হাঁটু পর্যন্ত জলে পা ডুবিয়ে স্নান রাখা খুবই স্বাস্থ্যকর। এর ফলে শরীর থেকে নানা ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়। ক্লান্তিও দূর হয়। এখন সেই সুযোগ নেই। তবে শাওয়ারে বিশেষ উপায়ে স্নান করলেও শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যায়। সঙ্গে শরীরের ঘাড়ে পিঠে ব্যথার উপসর্গও চলে যায়। প্রথমে শাওয়ারের নিচে পিঠ করে দাঁড়ান। গরম জলের কল খুলে দিন। প্রথমে পিঠে কিছুক্ষণ গরম জল নিয়ে তারপর ঠান্ডা জল চালিয়ে দিন। দেখবেন পিঠে আর ঘাড়ের ব্যথা কমে গিয়েছে। ক্লান্তিও চলে গিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: Skin Care Tips: ‘সুপার সফট’ পায়ের জন্য সহজ ও ঘরোয়া উপায়েই ব্যবহার করুন এই ৪ ফুট স্ক্রাবার!

Next Article