
পায়ের যত্ন কতটা সময় ব্যয় করেন? রাস্তা থেকে বাড়ি ফিরে পা ধোয়া ছাড়া আর কোনও যত্নই বেশিরভাগ মানুষ নেন না। কিন্তু শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় পায়ের উপর দিয়ে সব ঝড়-ঝাপটা যায়। গরমে কড়া রোদে বেরিয়ে পায়ের পাতায় ট্যান পড়ে যায়। সেই সান ট্যান তোলার আগেই বর্ষার আগমন। জল-কাদায় পায়ের ক্ষতি এড়িয়ে যাবেন না। বৃষ্টির দিনে পায়ে কাদাজল লেগে র্যাশ, এগজিমা, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। পায়ে এসব সমস্যা এড়াতে বর্ষায় মেনে চলুন সহজ ক’টি টিপস।
১) বর্ষাকালে সবসময় পা ঢাকা জুতো পরুন। এতে আপনি সহজেই কাদা, জমা জল এড়াতে পারবেন। মূলত বর্ষার নোংরা জলই ফাঙ্গাস, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বয়ে নিয়ে আসে। তাই এটি এড়াতে আপনাকে পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
২) পা সবসময় শুকনো রাখুন। পায়ে জল-কাদা যত বেশি লাগবে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়বে। তাই বাড়ি ফিরেই পা ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার পর শুকনো করে পা মুছে নিন। রাস্তায় বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে গেলে কাগজের টিস্যু দিয়ে পা মুছে নিতে পারেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। এমনকী ভেজা জুতো পরবেন না।
৩) বাড়ি ফিরে পরিষ্কার জল দিয়ে পা ধোয়াই যথেষ্ট নয়। বালতি ঈষদুষ্ণ জল নিন। এতে কয়েক ফোঁটা ট্রি টি অয়েল বা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। কিংবা হিমালয়ান পিঙ্ক সল্টও মেশাতে পারেন। এই জলে ১০-১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে নিন।
৪) প্রতি মাসে পার্লারে গিয়ে পেডিকিওর করা সম্ভব নয়। তাই বাড়িতেই পায়ের যত্ন নিতে হবে। নখ কাটার পর নখের কোণগুলো ভাল করে পরিষ্কার করবেন। গরম জলে লেবুর রস এবং খোসা মিশিয়ে পা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। তারপর ওই লেবুর খোসা দিয়ে ভাল করে ঘষে নিন। এতে আপনার পায়ের দুর্গন্ধ কমে যাবে এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে যাবে।
৫) পায়ে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। রাস্তায় বেরোনোর আগে কিংবা মোজা ও জুতো পরার আগে পায়ে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার লাগিয়ে নিন। এতে আপনার পায়ে ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে যাবে।
৬) পা পরিষ্কার করে ধুয়ে নেওয়ার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। আর যদি আপনার পায়ে কোনও কাটা থাকে, তাহলে ওয়াটার প্রুফ ব্র্যান্ডেজ ব্যবহার করুন। ক্ষতর উপর কাদা বা বৃষ্টির জল লাগলে আরও সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এই উপায়ে পায়ের খেয়াল রাখুন।