
শীত গেলেও চুলের সমস্যা পিছু ছাড়ে না। শীতে দেখা দেয় খুশকির প্রকোপ, বাড়ে চুল পড়ার সমস্যা। কিন্তু এখন শীত বিদায় নিয়েছে। চারদিকে বসন্তের হাওয়া বইছে। কিন্তু চুলের ক্ষেত্রে গল্পটা একই রয়ে গিয়েছে। মাথা ভর্তি খুশকি এখনও আছে। তার সঙ্গে চুল পড়ার সমস্যা যেন আরও বেড়েছে। যখন নামী-দামি প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার করে উপকার পাননি, তাহলে এবার ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে দেখুন। চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে জোয়ান। ঠিক যেমন খাওয়ার শেষে হজমের জন্য জোয়ান চিবিয়ে খান। একইভাবে, স্নানের আগে মাথায় মেখে নিন জোয়ানের তেল।
জোয়ানের তেলের মধ্যে ওষুধি গুণ রয়েছে। জোয়ানের মধ্যে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-সেপটিক গুণ রয়েছে। এই ভেষজ উপাদানটি প্রাচীনকাল থেকে বদহজম, দাঁতের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা, কাশি ইত্যাদির জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। এবার এই একই উপাদানকে চুলের যত্নেও ব্যবহার করতে পারেন। জোয়ানের তেল মাখলে কী-কী উপকারিতা পাওয়া যায়, চলুন দেখে নেওয়া যাক।
চুলে জোয়ানের তেল লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এটি চুল পড়া বন্ধ করে। আসলে, জোয়ানে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জোয়ানের এই বৈশিষ্ট্যগুলোই খুশকির সমস্যাও কমাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ জোয়ানের তেল ব্যবহার করলে আপনার খুশকির সমস্যাও দূর হয়ে যেতে পারে।
আজকাল দূষণের কারণে সহজেই চুল তার প্রাকৃতিক জেল্লা হারিয়ে ফেলে। তার সঙ্গে পাকা চুলের সমস্যাও দেখা দেয়। এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে জোয়ানের তেল। জোয়ানের তেল আপনাকে শুষ্ক ও প্রাণহীন চুল থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে। তার সঙ্গে চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেয় জোয়ানের তেল। আসলে জোয়ানের তেল চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এতে চুলের অনেক সমস্যাই কমে যায়।
বাড়িতে কীভাবে জোয়ানের তেল তৈরি করবেন?
১ বাটি নারকেল তেল নিন। এতে ২ চা চামচ জোয়ান মিশিয়ে নিন। তার সঙ্গে ১০-১৫টি কারি পাতা মিশিয়ে দিন। এবার মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন। তেলটা ঠান্ডা করে নিন। এবার ছেঁকে নিয়ে একটা হেয়ার টাইট কৌটোতে ভরে রাখুন। প্রতিদিন স্নানের আগে এই তেল চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মালিশ করুন। এতে ধীরে ধীরে চুল পড়া, খুশকি ও অন্যান্য চুলের সমস্যা কমে যাবে।